বিশেষ প্রতিনিধি
দ্বীন ইসলাম
সম্প্রতি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া মাধবপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সক্রিয় চোর দলের এক সদস্যকে ধরে পুলিশের হাতে দেওয়ায় অমবশ্যার কালো আধারী নেমে আসে তার জীবনে।
সোমবার বাতে ঐ ইউপি সদস্য
মিঠু মিয়ার জবানবন্দীতে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তিনি জানান
ঢাকা ও সিলেটের ভয়ঙ্কর আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য, শীর্ষ সন্ত্রাসী রয়েল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আসে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মিশন নিয়ে। সেই মিশনে বাড়ীর মালিকের উপস্থিত বুদ্ধিতে রয়েল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পালিলেও এক চোর সদস্য কে আটক তিনি। পরেরদিন সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিঠু মিয়া ধৃত চোর সদ্যকে তুলে দেওয়ার জেরে রয়েল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মিঠু মিয়ার উপর।
ঐকপর্যায়ে গেল মঙ্গলবার পরিকল্পিতভাবে রয়েল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অতর্কিত হামলা চালায়
মিঠু মিয়ার বাড়িতে ।
এই সময় তারি মিঠু মিয়ার বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি মিঠুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এই হামলায় রেহায় মেলেনি তার পরিবারের অপরাপর সদস্যদেরও । একপর্যায়ে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাইলে রাসেল প্রকাশ্যে সেনাবাহিনীকে গালাগাল করে ফের হামলা চালায়।
পরবর্তীতে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি খবর পেয়ে দ্রুত মিঠু মিয়াকে ঘর থেকে উদ্ধার করেন।
এই ঘঠনার সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা এক সাংবাদিক রেহায় পাননি রয়েলের হামলার হাত থেকে। সেই সাংবাদিক তাকে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়েছে বলে জানান । বর্তমানে সে গোসাইতুলি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
এই ঘঠনায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে ফুঁসছে উঠেছে পুরো এলাকা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য ধৃত সক্রিয় চোর সদস্যের ভাষ্য মতে সিলেটের রক্তচক্ষু রুয়েল, ঢাকার কুখ্যাত রাসেল এবং মাদক কারবারি রুবেল মিয়ার নেতৃত্বে তারা মাধবপুরে আসেন।
Leave a Reply