
রকসী সিকদার………
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ২৫০ টি অলিভ রিডলি প্রজাতির কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে।আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) ইনানী সৈকতে বিপন্ন অলিভ রিডলিন প্রজাতির কাছিমের বাচ্চা গুলো অবমুক্ত করা হয়।জানা যায় অবমুক্ত করা কাছিমের বাচ্চা গুলো
কক্সবাজার বনবিভাগ ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত নার্সারিতে জন্ম নে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম।এসময় তিনি বলেন ‘’অলিভ রিডলি টারটল বা জলপাই রঙা সামুদ্রিক কাছিম এর বৃহৎ আবাস বঙ্গোপসাগর। সাগরের অনন্য জীববৈচিত্র্যের এই মূল্যবান অনবদ্য অনুষঙ্গটি সাগরের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ও ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।‘’
প্রতিবছর শীতের মৌসুমে এরা উপকূলবর্তী বালুকাময় সৈকতে আগমন করে ডিম পাড়া ও বাচ্চা ফোটানোর জন্য। কিন্তু ডিম পাড়ার জন্য কাছিম সৈকতে আগমন করলে সেখানে বিচরণকারী কুকুরের আক্রমণে ও অন্যান্য নানা কারণে কাছিম ও কাছিমের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মা কাছিম মারা যায়।
কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত কার্যক্রমের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ নূরুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মোঃ বদরুজ্জামান, নেকমের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম ও কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
কক্সবাজার বনবিভাগ ও ন্যাকম এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় এইসব ডিম দিতে আসা কাছিমের নিরাপত্তা ও বাচ্চা ফোটানোর নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২টির অধিক পয়েন্টে ডিম সংগ্রহ করে তা ফোটানোর জন্য নার্সারি স্থাপন করা হয়। এসব নার্সারিতে প্রায় ২৬ হাজার ৭৭০ টি ডিম সংগ্রহ করে তা ফোটানোর জন্য বিশেষ ধরনের পরিচর্যা ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। নেকমের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ৬০০০ এর অধিক বাচ্চা ফোটানো সম্ভব হয়েছে।
সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে, যা এক দশক আগেও ছিল ৫২টি। অর্থাৎ হুমকির মুখে রয়েছে সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থান সমূহ।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply