
স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ বাবুল শেখ
সাভারের আশুলিয়ার শেরআলী মার্কেট সজল এর ভাইয়ের বাসায় এসে তাদের সফল ভালোবাসার বিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে আশুলিয়ার পল্লীবিদুৎ কাচ্চি ডাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১০ বছর আগে রাজবাড়ী পাংশা থানার সজল খান কর্মের তাগিদে পাড়ি জমান সুদূর সিঙ্গাপুরে। সেখানে গিয়ে পাঁচ বছর হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করেন। হঠাৎ পরিচিত হন ফিলিপাইনের যুবতী সাইরা খান এর সাথে। সাইরা খাঁনকে প্রথম দেখাতেই পছন্দ করেন সজল। একে একে সজলের ভালো লাগা থেকে শুরু হয় ভালোবাসা তাই সজল নিজেই দেন ভালোবাসার প্রস্তাব সেই প্রস্তাবে রাজি হননি সাইরা খাঁন পরে সজলের নিষ্ঠা এবং সততা ও পরিশ্রমে মুগ্ধ হন সাইরা খান। নিজে থেকেই সজলের ভালোবাসার প্রস্তাব রাজি হয়ে যান সাইরা খাঁন।
যেহেতু দুইজন দুই দেশের,এজন্য তারা প্রতিজ্ঞা করেন তারা একসাথে পাঁচ বছর থাকবেন। এরপর যদি মনে হয় যে তাদের সম্পর্ক আরো দূরে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তখন তারা বিয়ের ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করবেন। ঠিক সেভাবেই তারা পাঁচটি বছর অতিক্করম করেন। সিঙ্গাপুর একসাথে কাজ করে সায়রা খাঁন আর সজল তখন জীবনের অন্তিম পর্বের পদক্ষেপ নেন যে তারা দুজনে দুজনকে বিয়ে করবেন।
সজলকে দেখে সাইরা খাঁনের বাংলাদেশের উপর ভালোলাগা ভালোবাসা শুরু হয়ে যায় এরপর দিনক্ষণ ঠিক করে ফিলিপাইন থেকে চলে আসে বাংলাদেশে। ঠিক করা হয় বিয়ের দিন ক্ষণ পরে সাভারের আশুলিয়ার শেরআলী মার্কেট সজল এর ভাই বসবাস করেন, ভাইয়ের কাছে থেকেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। সেই কথা মতো আজ সজল খান ও সাইরার সফল ভালোবাসার বিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আশুলিয়ার পল্লীবিদুৎ কাচ্চি ডাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সজল খাঁনের পরিবারের সদস্যবৃন্দ সহ আত্মীয়-স্বজন ভাই বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী গণ সবার উপস্থিতিতেই সম্পূর্ণ হয় তাদের বিয়ে। এ সময় সাইরা খাঁন জানান, বাংলাদেশ দেখতে ফিলিপাইনের মতোই বাংলাদেশের মানুষ খুবই ভালো এবং নম্র ভদ্র মিশুক। আমি কিছু কিছু বাংলা বলতে পারি এর মধ্যে থেকে সব থেকে বেশি বলতে পারি সজল আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর অল্প অল্প বাংলা বলতে পারি সর্বোপরি সজল একজন ভালো মনের মানুষ এবং একজন ভালো জীবনসঙ্গী ভালো একজন কেয়ারফুল্লি প্রেমিক। আজকে আমরা বিয়েতে আবদ্ধ হলাম বাংলাদেশের সকলের কাছে আমরা দোয়া চাই আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply