ভিক্টিমকে গতকাল রাতে(১৮ মার্চ) পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি সভাপতি মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি এবং সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি সাড়ে ৭ টার দিকে জোড় করে নির্জন স্থানে নিয়ে প্রথমে উলংগ করে ভিডিও ধারণ করে, এরপর ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে পরপর দুজন রেই/প করছে।এরপর নেশা করার জন্য টাকা চেয়েছে আর ওরা যখনি চাইবে আবারো ওদের ডাকে সাড়া দিয়ে একই কাজ করার জন্য ও কাউকে না বলার হুমকি দিয়েছে।
ভিক্টিম সকালে ১১ টা নাগাদ থানায় যায়।থানায় গেলে ওকে মেডিকেলে না পাঠিয়ে পুলিশ সন্ধ্যা পর্যন্ত কালক্ষেপণ করায় (সম্ভবত যাতে ওর আলামত নষ্ট হতে থাকে)।পুলিশ ওর সাথে সুন্দর ব্যবহার মেইনটেইন করেছে একজন আসামী গ্রেফতার করলেও অন্যকে করতে পারেনি বা করেনি।কোন সাংবাদিক দের সহযোগিতাও করতে দেয়নি এমনকি তাদেরকে পুলিশ কোন তথ্য ও দেয়নি।দুমকি উপজেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফোন দিয়ে ইউএনও কে পাঠায়।ভিক্টিম সকাল ১১ টায় পৌছালেও তাকে মেডিকেল রিপোর্ট এর জন্য নেয়া হয় ৬ টার ও অনেক পরে।
মেয়েটির মা(শহীদের স্ত্রী) ঢাকা থেকে আসতে থাকেন।তার আগেই আমি ঢাকা থেকে পোছাই। আমি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেছি এবং এনসিপি পটুয়াখালীর সংগঠক দের দুপুর থেকে ভিক্টিমের কাছে রেখেছি।পরিবারের কেউ না থাকায় একজন নারী সংগঠক কে ভিক্টিমের সাথে ওর খাওয়া দাওয়া দেখাশোনা সাহস দেয়া টেক কেয়ার করার জন্য রেখেছি।
আমি ভিক্টিমের সাথে ফোনে যোগাযোগ রেখেও ওর কাছে পৌছানোর পর বিস্তারিত কথাবার্তা বলি।ওর মা আর মামা আসার পর তাদের সাথে সব রকমের সহযোগিতা এবং পাশে থাকার কথা বলেছি এবং আমার আমি তাদের সাথে আছি।
ভিক্টিম এখন চিকিৎসাধীন আছে,ভিক্টিম এর বলা ধর্ষক দুজনের ছবি এবং পরিচয় পরের পোস্টে দিচ্ছি লিংক কমেন্ট বক্সে।
সাধারণত রে/ইপ কেইস এর ভিক্টিম এর জবানবন্দি নিয়ে তাকে যথাদ্রুত সম্ভব মেডিকেল টেস্ট করার জন্য পাঠানো হয় এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েও আলামত সংগ্রহ করা হয়।কিন্তু এখানে ভিক্টিম কে সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত কালক্ষেপণ করানো হয়।
-আসামীর চাচা স্থানীয় প্রভাবশালী তিন/চারটি মোটরবাইকে করে ভিক্টিম থানায় থাকা অবস্থায় উপস্থিত হয়,ওসির সাথে হাসিখুশী ভাবে কথাবার্তা বলে বেড়িয়ে আসে এবং তার ভাতিজাকেই পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।(প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ১০ জন সাংবাদিক)
-ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ এর ব্যাপারে সাংবাদিকরাও চেষ্টা করতে গেলে তাদের আশেপাশেও যেতে দেয়া হয়নি।
শহীদ আমাদের জুলাইয়ে প্রাণ দিয়েছে, তার বড় মেয়েই ভিক্টিম,ছোট মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে আর ১ বছরের ছেলে আছে কোলে।মেয়েটার বাবা নেই,মা ঢাকায় শহীদ এর মামলা নিয়ে অপরাধ ট্রাইবুনাল এ দৌড়াদৌড়ি করছিলেন ভাইকে নিয়ে কোলে বাবুকে নিয়ে। মেয়ে নানা বাড়ি ছিলো গতমাসে নানাও মারা গেছে,যার ফলে অসুস্থ নানী নিয়ে একা ছিলো।
বাবাহীন এই দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রীর পাশে আমরা যদি না দাড়াই তবে বিচার প্রক্রিয়ার জটিলতায় আটকে যাবে সব।
Copied: Tamim Ahmed
সংযুক্তি: অভিযুক্ত দুইজনের ছবি
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy