জাকির হোসেন
চীফ রিপোর্টার
বিশ্বের বেশ কিছু বড় শহর খুব বেশি পানি অথবা পানির অভাবের সঙ্গে লড়াই করছে। তবে পানির কারণে সৃষ্ট সংকট নিরসনে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ধীরে ধীরে সুফল বয়ে আনছে।
৮০০ কোটি মানুষের পৃথিবীতে প্রায় অর্ধেক মানুষ বসবাসের জন্য বেঁছে নেন শহরকে। এ কারণে গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় নগরাঞ্চল দ্রুত ‘উত্তপ্ত’ হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ওয়াটারএইডের নতুন গবেষণা অনুসারে, অনেক নগরাঞ্চল পানি-সম্পর্কিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।
গবেষণায় ১০০ টিরও বেশি প্রধান শহর পরীক্ষা করা হয়েছে, যেখানে গত চার দশক ধরে জলবায়ুর ধরণ নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।
কায়রো, মাদ্রিদ, হংকং, রিয়াদ ও জেদ্দার মতো অনেক শহর এক সময় বন্যার ঝুঁকিতে ছিল৷ এখন তারাই খরার সঙ্গে লড়াই করছে।
অন্যদিকে ভারত, কলম্বিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের শুষ্ক শহরগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ওয়াটারএইড-এর বৈশ্বিক আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক ক্যাথেরিন নাইটিঙ্গেল বলেন, এখানকার অবকাঠামো এমন এক সময়ে ডিজাইন ও নির্মাণ করা হয়েছিল, যখন এই শহরগুলি শুষ্ক ছিল। কিন্তু এখনএগুলো বন্যাপ্রবণ শহর।
ক্রমবর্ধমান বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি শহরের মধ্যে দুটি ছাড়া বাকি সবই এশিয়ায়। সে শহরগুলোর অর্ধেকই ভারতে। ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য সবচেয়ে বেশি শুষ্কতার প্রবণতা অনুভব করছে।
চীন, ইন্দোনেশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পূর্ব আফ্রিকার শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
নাইটিঙ্গেল বলেন, খরা পানির উৎস শুকিয়ে দেয়, অন্যদিকে বন্যা শৌচাগার এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা ধ্বংস করে এবং পানীয় জলকে দূষিত করে।
পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি শহরের মধ্যে রেখেছে ওয়াটারএইড। করাচির ২ কোটি মানুষের অর্ধেকই বস্তিতে বাস করে।
পাকিস্তান বন্যার মুখোমুখি হলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া খরার সঙ্গে লড়াই করছে। এ কারণে দেশটিতে পানি, স্যানিটেশন এবং বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষজনের উপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।
Leave a Reply