1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
অটিজম নিয়ে কুসংস্কার নয়, চাই সচেতনতা 
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

অটিজম নিয়ে কুসংস্কার নয়, চাই সচেতনতা 

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১, ২.৩৬ পিএম
  • ২১৯ বার পঠিত
ওয়াকিল আহমেদঃ
অটিজম” বর্তমান প্রেক্ষাপটে বহুল পরিচিত একটি শব্দ। তবুও শব্দটির পরিচিত বাড়লেও, বিকাশ হয়নি “অটিজম” নিয়ে মানুষের তথাকথিত চিন্তাধারার। আমাদের সমাজে এমন অনেকেই আছে, যারা ভাবে অটিজম বংশগত বা মানসিক রোগ। মূলত এটি কোন রোগ নয়। অটিজম একটি স্নায়ুগত সমস্যা। ইংরেজিতে যাকে বলে “নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার”। মস্তিষ্কের বিকাশজনিত এই সমস্যা, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন আনেকটাই নিরাময়যোগ্য।
অটিজম নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আছে “বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস”। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত এই দিবসটি প্রতি বছর ২রা এপ্রিল পালিত হয়। মূলত এদিন জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো “অটিজম স্পেকটার্ম ডিসঅর্ডার” আক্রান্তদের সাহায্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে সাতটি দিবস আছে, বিশ্ব অটিজম দিবস তাদের মধ্যে অন্যতম।
অটিজম আক্রান্তদের জন্য  জাতিসংঘের গৃহীত এই বিশেষ উদ্যোগ তাদের অবস্থার পরিবর্তনে রেখে চলেছে অভাবনীয় ভূমিকা।
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। রয়েছে অটিজমের সুচিকিৎসা। তবুও এনিয়ে গ্রামাঞ্চলে এখনও অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে।  গ্রামাঞ্চলে অটিজম নিয়ে জন্মগ্রহণ করা এমন অনেক শিশু আছে, যাদের পরিবার তাদের সন্তানদের অটিজম শনাক্ত করতে পারেনা। যেহেতু এটি মস্তিষ্কের বিকাশজনিত রোগ, শিশু সমাজের সাথে সামাজিক কোন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেনা এবং একই কাজ বারবার করতে থাকে। যেহেতু পরিবারগুলো তাদের সন্তানের এমন আচরণে উদাসীন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের আচরণের এই অস্বাভাবিকতা বাড়তে থাকে। ফলাফল সমাজ তাকে পাগল উপাধী দেয়। এমনকি অটিজম আক্রান্তদের পরিবারগুলোকেও করা হয় হেয় প্রতিপন্ন। যা ঐ পরিবারগুলোর দৈনন্দিন জীবনে তৈরী করে বাড়তি বিড়ম্বনা। যেহেতু এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়, তাই একটি শিশুর অটিজম যদি তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যায় সেক্ষেত্রে তার  নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয়।
সাধারণত জন্মের ছয় মাসের মধ্যেই শিশুর মধ্যে অটিজমের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। যেমন: শিশুর মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারা চোখে চোখ রেখে কথা না বলা, একা থাকতে পছন্দ করা, তাদের দৈনন্দিন তালিকায় কোন পরিবর্তন আসলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানো, অটিজমের এই  সহজাত আচরণ গুলো শিশুর মধ্যে দেখা মাত্রই বাবা মার উচিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। অনেকেই লোকলজ্জার ভয়ে তার অটিজম আক্রান্ত সন্তানকে লোকচক্ষুর অন্তরালেই রাখতে চান। যা তার সন্তানের সমস্যার বিস্তার ঘটাতে থাকে। বিপরীতে দ্রুত আটিজম সনাক্ত করে ব্যবস্থা নিলে তাদের জীবনেও অনেকটা স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
অটিজমের প্রতিটি শিশুই বিশেষ প্রতিভাবান সম্পন্ন। তাদের প্রত্যেকের মধ্যেই নির্দিষ্ট  কোন  বিষয়ে দক্ষতা থাকে। এমন অনেক শিশু আছে যারা অটিজম আক্রান্ত হলেও মাত্রা কম, তাদের অনেকেই স্বাভাবিক শিশুদের মতন লেখাপড়া করতে পারে। আবার অনেকের গাণিতিক দক্ষতা স্বাভাবিক শিশুদের থেকেও বেশি হয়ে থাকে। তাই কোনভাবেই তাদের পিছিয়ে পড়া শিশু ভাবা যাবেনা। বরং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে তাদের পাশে থাকতে হবে। তাদের জন্য তৈরী বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতিষ্ঠাগুলো তাদের অভিনব পাঠদান, বিশেষ থেরাপি এবং প্রত্যেকর আলাদা আলাদা দক্ষতা খুজে তাকে সে বিষয়ে পারদর্শী করে তোলে।
অটিজম নিয়ে কুসংস্কার দূরীকরণে চাই সচেতনতা। প্রতিটি শিশুই সৃষ্টিকর্তার উপহার। কোন শিশুই বোঝা নয়। তবে অটিজমের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের অবস্থার পরিবর্তনে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে  অনেক এগিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানান উদ্যোগে আশা করা যায় একদিন অটিজম আক্রান্ত শিশুরা তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে। সুযোগ পাবে নিজ দক্ষতাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার। সমাজের কাছে স্বীকৃতি পাবে স্বাভাবিক শিশু হিসেবে।
তারাও দেশের সম্পদ। তারাও একদিন তাদের মেধা, সৃজনশীলতা দিয়ে দেশের জন্য সাফল্য বয়ে নিয়ে আসবে। শুধু প্রয়োজন সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তাদের মেধা বিকাশে সাহায্য করা। শুধু “বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস” উপলক্ষে নয়, বছরের প্রতিটি দিনই তাদের শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতার সাথে করে যাওয়া যুদ্ধের সামিল হতে হবে সবাইকে। তাদের চলার পথটা যেন সহজ হয় সে লক্ষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বব্যাপী পালিত এই অটিজম সচেতনতা দিবস যদি তাদের জীবনযুদ্ধে এক ধাপ এগিয়ে দিতে পারে, তবেই এই দিবসের  সার্থকতা অর্জিত হবে বলে মনে করি।
Surjodoy.com

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews