রেখা মনি, রংপুর স্টাফ রিপোর্টার
সালমা বেগম। বয়স ১০০ বছর পেরিয়েছে। রংপুর নগরীর ৩৩ নং ওয়ার্ডের বসুনিয়া পাড়ায় থাকেন। স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই, ৮ সন্তানের জননী এই অসহায় বৃদ্ধাকে সন্তানরা দেখভাল না করায় করুণ পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি। করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর তার অবস্থা আরো করুন হয়ে উঠে।
“উই আর বাংলাদেশ” নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই বৃদ্ধার করুণ অবস্থা তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট দেন। আর এই পোস্ট দেখে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন—বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার, বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার) পিপিএম পুলিশ সুপাররংপুর মহোদয়।
আজ দুপুরে “উই আর বাংলাদেশ” এর আর্থিক সহযোগিতা ও জেলা পুলিশের তত্বাবধানে বৃদ্ধাকে একটি বাড়ী উপহার দেন। রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলাম পলাশের সভাপতিত্বে বাড়ী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার জনাব বিপ্লব কুমার সরকার।
স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছেন প্রায় অনেক বছর আগে। ৮ সন্তানের মধ্যে ৭ জনই খোঁজ খবর নেননা। তবে তাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ ও অসুস্থ ছেলে ও তার স্ত্রী একটু দেখাশোনা করেন।বেশিরভাগ সময়ই খেয়ে না খেয়ে কাটে তার দিন। তারপরেও পেতেন না বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম জানান,এর আগে তার ছেলে বয়স্ক ভাতার জন্য আমার কাছে আসলেও তার মা যে বেঁচে আছেন এটা আমি জানতামই না। এখন থেকে নিয়মিত তার খোঁজখবর রাখবো।
এসময় পুলিশ সুপার জনাব বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো সওয়াবের কাজ। সমাজের মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন। জনাব আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) রংপুর, মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) রংপুর এবং সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আশরাফুল আলম পলাশ, রংপুরসহ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..