নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’ – এমন সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর সদর সহ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। এক শ্রেণির পুকুর ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ফসলি জমিতে পুকুর খননের লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছেন এর ফলে ফসলি জমিকে পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পৌর সদর সহ উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের কৃষি জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে ৮ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চলছে।
দিনরাত বিরতিহীন পুকুর খনন করে সেই মাটি গুলো আবার আক্কেলপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের হাট বাজারসহ জেলার পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার,কোলা ইউপির ভাণ্ডারপুর,মথুরাপুর ইউপির গোবরচাঁপা,মিঠাপুর ইউপির খাদাইল বাজারে অবস্থিত অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা আইয়ুব সরকারের ইটভাটায় অবৈধ মেসি ট্রাক্টর দ্বারা সরবারহ করা হচ্ছে এরফলে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের নব-নির্মিত রাস্তাঘাট গুলো আর ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ যা দেখার কেউ নেই।আরো জানা যায় এ উপজেলার কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন এক শ্রেণির প্রভাবশালী অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা যার অধিকাংশই আবার ভোগ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা সহ স্থানীয় প্রশাসন।
এবিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম হাবিবুর হাসানের নিকট সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করেও কোন প্রকার প্রতিকার না পাওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সেইসব অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের ভয়ে সাধারন মানুষরাও মুখ খুলছেন না।
সংবাদটি গত (০৫-৬ ও ৭ এ মার্চ) ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায়” সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আক্কেলপুর চলছে ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব” এ শিরোনামে ধারাবাহিক ভাবে সংবাদটি প্রকাশিত হলে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএস হাবিবুল হাসান দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান,যে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে সকলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..