আদালতের রায় অমান্য করে স্টেটের জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
গোমস্তাপুর প্রতিনিধিঃ
Facebook Twitter share
আদালতের রায় অমান্য করে শ্রী শ্রী শ্যাম রায় বিগ্রহ স্টেট (মহান্ত স্টেট) এর জমি দখল করে ঘর নির্মাণ ও মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বুধবার (৯ জুন) দুপুরে গোমস্তাপুর উপজেলার মহান্ত স্টেটের রহনপুর প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মহান্ত স্টেটের স্বত্বাধিকারী মহান্ত মহারাজ ক্ষিতিশ চন্দ্র আচারীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত
Surjodoy.com
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জমিদারি অংশীদার হিসেবে প্রায় ৪৫০ বছর ধরে এই সম্পত্তি মহান্ত স্টেটের আওতায় ভোগদখলে রয়েছে। এমনকি গোমস্তাপুর উপজেলার গোঙ্গলপুর মৌজার ১৪.৪৭ একর ফসলী জমির বিষয়ে মামলা হলে ১৯৮৭ সালের ২৮ জানুয়ারী মহান্ত স্টেটের পক্ষে রায় দেন মহামান্য আদালত। এরপরেও জমিটি দখলে নিতে নানারকম হুমকি ও পায়তারা করতে থাকে কুচক্রী মহল।
The Daily surjodoy
সংবাদ সম্মেলনে শ্রী ক্ষিতিশ চন্দ্র আচারী বলেন, পৈত্রিক সূত্র ও মহামান্য আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে আমাদের ভোগদখলে রয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার নজির ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. মিজান সরেজমিনে গিয়ে জমিটি খাস বলে ঘোষণা দেয়।
The Daily surjodoy
পরে সেই জমিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে। এর আগে সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান জমিটি বাবদ ১ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জমিটি সরকারি খাসভুক্ত বলে দখলের নানা ফন্দি করতে থাকে। এবিষয়ে ইউএনও মহোদয়কে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
The Daily surjodoy
১৯৮৭ সালে মহান্ত স্টেটের পক্ষে রায় হওয়ার পরেও জেলা প্রশাসক কোন আপিল করেনি জানিয়ে মহান্ত স্টেটের স্বত্বাধিকারী মহান্ত মহারাজ ক্ষিতিশ চন্দ্র আচারী বলেন, ১৯ মে ভূমি অফিসে গিয়ে জমির সকল কাগজপত্র প্রদান করলেও পরেরদিন জমিতে খুঁটি পুতে দখল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে উপজেলা ভূমি অফিস। জমির রেকর্ড, সকল কাগজপত্র ও আদালতের রায় থাকলেও এসব জাল বলে উড়িয়ে দেন সার্ভেয়ার মিজান। বিষয়টি জেলা প্রশাসককেও লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
The Daily surjodoy
অভিযোগ করে বিশ্ব হিন্দু ফেডারেশনের সদস্য ক্ষিতিশ চন্দ্র আচারী বলেন, আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে সরকারকে কয়েক হাজার বিঘা জমি বিভিন্ন কাজে দিয়ে সহযোগিতা করলেও সরকারের কিছু দুষ্ট কর্মকর্তার দ্বারা নানা হয়রানির শিকার হচ্ছি। এমনকি মহান্ত স্টেটের জমিতে নির্মাণাধীন বাড়ি সম্পকে কোন কিছু না জানলেও তা ভাংচুরের অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
The Daily surjodoy
এবিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. মিজানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
The Daily surjodoy
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহান্ত স্টেটের উত্তরাধিকারী শ্রী শ্যাম রায় চক্রবর্তীসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
Leave a Reply