1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম নারী ধারাভাষ্যকার পাটগ্রাম এর মেয়ে সাথিরা জাকির জেসি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ নিয়োগে বৈধতা না থাকলেও,জাহিনুর বেগমের দাবী তিনি প্রধান শিক্ষক  তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্ররা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম নারী ধারাভাষ্যকার পাটগ্রাম এর মেয়ে সাথিরা জাকির জেসি

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০, ১১.৪৯ এএম
  • ৩৬৪ বার পঠিত

এ,এইচ,এম তারেকুজ্জামান ফাইন প্রধান, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

সাথিরা জাকির জেসি ক্রিকেট খেলাটা নেশা, পেশাও বটে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে ক্রিকেটের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় দেখা যায় জাতীয় নারী দলের ক্রিকেটার সাথিরা জাকির জেসিকে। বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে এবার জেসির অভিষেক হতে যাচ্ছে ভারতে। চলমান ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের খেলাধুলাবিষয়ক চ্যানেল স্টার স্পোর্টসে আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের বাংলা ধারাভাষ্য দেবেন জেসি। কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো নারী ধারাভাষ্য দেবেন। স্টার স্পোর্টসে ধারাভাষ্য দিতে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে আজ বিকেলে ঢাকা ছেড়েছেন লালমনিরহাটের মেয়ে। এর আগে স্টার স্পোর্টসে বাংলাদেশের অনেক পুরুষ ক্রিকেটার ধারাভাষ্য দিলেও নারী ক্রিকেটার এবারই প্রথম। ভারতে যাওয়ার আগে রোমাঞ্চিত জেসি বলছিলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এটা একটা ইতিহাস। কোনো বাংলাদেশি মেয়ে স্টার স্পোর্টসে ধারাভাষ্য দেবে, আর সেটাও আমি, ভাবতে ভালো লাগছে। উত্তরাঞ্চলীয় জেলা লালমনিরহাটের পাটগ্রামে তার জন্ম। প্রত্যন্ত এলাকায় জন্ম হলেও ছোট বেলা থেকেই বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের নাম জানতেন জেসি। টেন্ডুলকারের ব্যাটিং তার খুব ভালো লাগতো।

 

খুব একটা খেলা দেখা হতো না। কারণ গ্রামে স্যাটেলাইট সংযোগ ছিল না। তবে প্রায়ই তিনি রেডিওতে চৌধুরী জাফরুল্লাহ শরাফতের ক্রিকেট ধারাভাষ্য শুনেছেন। তখন থেকেই তার মনে স্বপ্ন তৈরি হয় টেন্ডুলকারের মতো ক্রিকেটার হওয়া। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব? লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জেসি যখন ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন দেখতেন, তখন তখন তার চারপাশে কেউ চিন্তা করেনি যে মেয়েরা ক্রিকেট খেলবে। ছোট বেলায় জেসি দেখেছেন, তার চারপাশে মেয়েরা কিছু খেলা খেলতেন, যেগুলো মেয়েদের জন্য উপযোগী বলে মনে করা হতো । কিন্তু সেসব খেলা জেসিকে কখনোই টানেনি। ২০০১ সালে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু সেখানে ভর্তি হওয়া তার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। ‘আমি যখন অ্যাপ্লাই করলাম তখন আমার কার্ড আসেনি। কারণ বাংলাদেশে তখন মেয়েদের কোনো ক্রিকেট টিম ছিল না। সেজন্য বিকেএসপিতে মেয়েদের কোনো ক্রিকেট ছিল না, বলছিলেন জেসি।কিছুদিন অপেক্ষার পর যখন বিকেএসপিতে ভর্তির জন্য কার্ড আসছিল না, তখন বাবাকে নিয়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে সাভারের বিকেএসপিতে আসেন তিনি। কিন্তু বিকেএসপি কর্তৃপক্ষ জানালো মেয়েদের ক্রিকেট দল না থাকায় জেসিকে ক্রিকেটের জন্য নেয়া সম্ভব হচ্ছে না । শারীরিক কিছু পরীক্ষার পর বিকেএসপির প্রশিক্ষকরা জেসিকে পরামর্শ দিলেন যে টেনিস কিংবা শুটিং-এ সে ভর্তি হতে পারে। পরবর্তীতে ক্রিকেট দল গঠন করা হলে জেসি সেখানে যোগ দিতে পারবে বলে আশ্বস্ত করেন বিকেএসপি’র কর্মকর্তারা। উপায় না দেখে তখন শুটিং-এ ভর্তি হলেন জেসি। কিন্তু তার মন থাকতো ছেলেদের ক্রিকেট খেলার মাঠে। ক্রিকেটের প্রতি জেসির তীব্র আগ্রহ দেখে ছেলেদের ক্রিকেটে তাকে সপ্তাহে একদিন ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দিতেন। তখন সপ্তাহে একদিন তিনি ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলতেন বিকেএসপিতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করলেও তখন সেখানে মেয়েদের কোনো ক্রিকেট টিম গড়ে উঠেনি।

২০০৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষার সময় জেসি জানতে পারেন, ঢাকায় মেয়েদের একটি ক্রিকেট লীগ শুরু হবে। তখন তিনি ঢাকা জেলা মহিলা ক্রিকেট দলে নাম লেখালেন। সে লীগে ভালোই পারফর্ম করেছিলেন জেসি। এরপর জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয় তার। কিন্তু পরিবারের ইচ্ছা ছিল ভিন্ন ধরনের। জেসির মা-বাবা চেয়েছিলেন তিনি যেন ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু জেসি চেয়েছিলেন পড়াশুনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলায় মনোনিবেশ করতে। ২০১৬ সালে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। জেসি বলছিলেন, তার বিয়ে হওয়ার পর থেকে অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে তিনি আর ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। ‘একটা মেয়ের বিয়ে হয়ে যাবার পর সে ক্রিকেট খেলবে, এ বিষয়টা অনেকই সহজভাবে নেয় না। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলে একজন ভারতীয় নারী কোচ এসেছিলেন। জেসির বিয়ের পর সে নারী কোচ তাকে দল থেকে বাদ দেন।

অজুহাত হিসেবে জেসির বিয়ের বিষয়টি সামনে এসেছিল। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। ভালো খেলা দেখিয়ে তিনি আবারো জাতীয় দলে ফিরে আসেন। বিয়ের পর এক সন্তানের জননী জেসি তার খেলা চালিয়ে গেছেন। একই সাথে তিনি ক্রিকেটের কোচ হিসেবে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে একটি বেসরকারি সংস্থায় ক্রিকেট কোচিং এবং ক্রিকেট বিষয়ক অনুষ্ঠান করেন।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews