1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
আপনার জমির দলিল সঠিক কিনা যাচাই করার পদ্ধতি
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সাভারে বিরুলিয়ায় নিহত নারী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা : স্বামী গ্রেফতার । ফেসবুকে মানহানিকর লেখা প্রচারের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার মানহানি এবং হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন এক নারী। চোর সদস্যকে পুলিশে দেয়ায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউপি সদস্যের বাড়িতে পালতক চোরদের হামলা ও মারধর, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুরুতর আহত এক সাংবাদিক। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২৮ এপ্রিল  সাভারের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে পুরস্কার পেলেন ৬৮জন শিশু-কিশোর দিলেন খোরশেদ আলম! সাভারে ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া অসুস্থ শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন মেয়র পদপ্রার্থী খোরশেদ  লোহাগাড়ায় “বিশ্ব হোমিওপ্যাথি দিবস” উপলক্ষে চিকিৎসক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জননেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রাহমান শামীম। ন্যায়ের পথে চলো সংগঠনের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যুবদল নেতা!

আপনার জমির দলিল সঠিক কিনা যাচাই করার পদ্ধতি

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১, ১০.৩৩ পিএম
  • ২৫৭ বার পঠিত

এম হাবিব পেকুয়া প্রতিনিধি:
নিম্নলিখিত উপায়ে জাল দলিল সনাক্ত করা যেতে পারে,
১। কোনো দলিল নিয়ে সন্দেহ হলে প্রথমে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখতে হবে যে, দলিলটির রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ হয়েছে কি-না অর্থাৎ বালাম বহিতে নকলকরন কাজ শেষ হয়েছে কি-না। রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ না হয়ে থাকলে দলিলটি সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষণ করা মূল দলিলের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে। রেজিস্ট্রি কার্যক্রম শেষ হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে বা জেলা সদরের রেকর্ড রুমে সংরক্ষণ করা বালাম বহির সাথে দলিলটি মিলিয়ে দেখতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট ফিস প্রদান করে দলিলটি ‘তল্লাশ ও পরিদর্শনের’ জন্য নির্দিষ্ট আবেদন ফর্মে আবেদন করতে হবে।

২। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট দলিলে উল্লিখিত জমির মিউটেশন বা নামজারি সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে। নামজারিতে ধারাবাহিকতা ঠিক আছে কি না, পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সি,এস, খতিয়ানকে ভিত্তি হিসেবে ধরতে হবে। সি,এস, খতিয়ানের সঙ্গে বিক্রেতার নামজারি খতিয়ানের কোনো গরমিল থাকলে জাল-জালিয়াতি আছে মর্মে ধরে নিতে হবে।

৩। সংশ্লিষ্ট দলিলে উল্লিখিত জমির মাঠপর্চাও যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট ফিস প্রদান করে আবেদনের মাধ্যমে মাঠপর্চা উঠিয়ে যাচাই করতে হবে। সংশ্লিষ্ট জমির মাঠপর্চা অন্য ব্যক্তির নামে হলে সেখানে জাল-জালিয়াতি আছে মর্মে ধরে নিতে হবে।

৪। দলিলটি “হেবার ঘোষণাপত্র” বা “দানের ঘোষণাপত্র” হলে সেক্ষেত্রে দাতা-গ্রহিতার মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক পরীক্ষা করতে হবে। এ ধরনের দলিল নির্দিষ্ট কয়েকটি সম্পর্কের মধ্যে হয়ে থাকে। যথা- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে, পিতা-মাতা ও ছেলে-মেয়ের মধ্যে, আপন ভাই-বোনের মধ্যে, নানা-নানী ও নাতি-নাতনীর মধ্যে, দাদা-দাদী ও নাতি-নাতনীর মধ্যে। এ কয়েকটি সম্পর্কের বাইরে এ দুই ধরনের দলিল রেজিস্ট্রি হলে তা সঠিক নয় এবং এ ধরনের দলিল মুলে প্রাপ্ত জমি ক্রয় করা যাবে না।

৫। মূল মালিকের স্বাক্ষর নকল করে জাল দলিল তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্বাক্ষর বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে স্বাক্ষরের সত্যতা যাচাই করতে হবে।

৬। রেজিস্ট্রি অফিসের সীল জাল করে জাল দলিল তৈরি হলে প্রয়োজনে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বিভিন্ন সীল পরীক্ষা করতে হবে।

৭। সম্প্রতি রেজিস্ট্রি করা কোন দলিলের সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখককে জিজ্ঞাসা করেও জাল দলিল সনাক্ত করা যেতে পারে।

৮। দলিলটি সাম্প্রতিক রেজিস্ট্রিকৃত পাওয়ার অব অ্যাটর্ণি দলিল হলে সেটি নির্দিষ্ট ফরমেটে প্রস্তুত কিনা যাচাই করুন। কারন বর্তমানে ১৯ টি কলামে দলিলটি প্রস্তুতের বিধান রয়েছে।

৯। আইন ও বিধি সম্মতভাবে পাওয়ারদাতা কর্তৃক পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (আমমোক্তারনামা) দলিল বাতিল করার পরও পাওয়ার গ্রহিতা বা অ্যাটর্নি কর্তৃক কোন দলিল সম্পাদন এবং রেজিস্ট্রি করালে দলিলটি জাল বলে গন্য হবে।

১০। সি,এস, জরিপ পরবর্তী সময়ে জমিটি যতবার বিক্রি বা অন্যভাবে হস্তান্তর হয়েছে, তার সঙ্গে জমির পরিমাণ মিল আছে কি-না, তা যাচাই করুন।

১১। দলিলে ব্যবহৃত নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প সাধারনত সনদপ্রাপ্ত কোন স্টাম্প-ভেন্ডারের কাছ থেকে কেনা হয়। স্টাম্প-ভেন্ডারগণ এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রেজিস্টার বহিতে স্টাম্প ক্রেতার নাম লিখে রাখেন এবং স্টাম্পে নির্দিষ্ট নম্বর ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে স্টাম্প ভেণ্ডারের মাধ্যমে স্টাম্প ক্রেতার নাম ও ব্যবহৃত নম্বর পরীক্ষা করে জাল দলিল সনাক্ত করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews