নাদিম হোসেন খানঁ,(চরফ্যাশন-ভোলা) প্রতিনিধি:
জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র দ্বীপ জেলার চরফ্যাশন উপজেলা। চরফ্যাশনে নির্মিত হয়েছে উপমহাদেশের সর্বোচ্চ জ্যাকব টাওয়ার। এর উচ্চতা ২১৫ ফুট। এ টাওয়ারে উঠলেই পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদী, পূর্বে মেঘনা নদী এবং মনপুরা দ্বীপ, দক্ষিণে আরেক দর্শনীয় স্থান চর কুকরি-মুকরিসহ বঙ্গোপসাগরের দিগন্তজোড়া জলরাশি নজরে পড়বে।
ভৌগলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সুন্দর, নদী বেস্টিত এবং সাগরের নৈকট্য এক ভিন্নরকম সৌন্দর্যের স্বাদ দেবে ভ্রমণ পিপাসুদের। ইতোমধ্যে এখানকার নতুন জেগে ওঠা চরগুলো প্রাকৃতিপ্রেমীদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। চরফ্যাশনের দক্ষিণে সাগর মোহনার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুকরি-মুকরি, ঢালচর, তারুয়া সৈকত প্রাকৃতির এক অপার সৃষ্টি।
চরফ্যাশন শহরের খাসমহল মসজিদ ও ফ্যাসন স্কয়ারের পাশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়েছে। লিফট সংযুক্ত টাওয়ারে উচ্চ ক্ষমতার বাইনোকুলার রয়েছে। যাতে ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার সবকিছু অনায়াসে দেখা যায়। প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন টাওয়ারটি পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে। ৭৫ ফুট মাটির নিচ থেকে ৭০টি পাথর ঢালাই পাইলিং ফাউন্ডেশনের ওপর টাওয়ারটি সম্পূর্ণ ইস্টিলের তৈরি। ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় টাওয়ারের চূড়ায় ওঠার জন্য সিঁড়ির পাশাপাশি থাকবে ১৬ জন ধারণক্ষমতার অত্যাধুনিক ক্যাপসুল লিফট। টাওয়ারের চারদিকে অ্যালুমোনিয়ামের ওপর ৫ মিলি ব্যাসের স্বচ্ছ গ্লাস রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব স্পটে দর্শনার্থী আসছেন। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে চরফ্যাশনে দৃষ্টিনন্দন টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
চরফ্যাশন পৌর মেয়র মোঃ মোরশেদ বলেন, চরফ্যাশন পর্যটকদের স্থাপনার জন্যে প্রশংসার দাবীদার সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। তিনি চরফ্যাশন-মনপুরাকে সুন্দর করার জন্যে চষে বেড়াতেন মন্ত্রনালয় গুলোতে ফলে আজ চরফ্যাশন এত সুন্দর হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দেখতে আসে পর্যটক গন।
সরকারি বে-সরকারি চাকুরী জীবীগন ঘুরে আসতে পারেন পর্যটন কেন্দ্র চরফ্যাশনে।
এখানে রয়েছে জ্যাকব টাওয়ার, ফ্যাসন স্কয়ার, বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক, শেখ রাসেল শিশু পার্ক, খামার বাড়ী, বিছিন্ন দ্বীপ চরকুকরি মুকরি ও ঢালচরের তারুয়ার চর। এই সকল চরাঞ্চলে দেখবেন হরেক রকমের বন্য প্রাণি ও সুর্যের লালছে আবারণ। ঢাকা থেকে চরফ্যাশন লঞ্চযোগে এসে বেতুয়া বা ঘোষেরহাট নেমে চরফ্যাশন সদরে অবস্থিত। সকর কিছু উপভোগ করে পূনঃরায় ঢাকা চলে যেতে পারবেন বিকাল ৫ টার লঞ্চে।
এই এলাকার খাবার দধি, নদীর টাটকা ইলিশ, বোয়াল, কোরাল এবং গলদা চিংড়ি ইত্যাদি। এখানে হাঁসের মাংস ভূনা খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও মহিষের দুধের দধি, ইলিশ,কোরাল, বোয়াল ও গলদা চিংড়ি বেশ পরিচিতি। এই শহরে দু’কদম হাটলেই বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট,ক্যাফে,হোটেলে খাবার জুটে।