আব্দুল্লাহ্পুর- এয়ারপোর্ট রোডের যানজটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
কাজী মোতাহার হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক: | ১৫ জুন ২০২১ | ২:১০ অপরাহ্ণ
আব্দুল্লাহ্পুর- এয়ারপোর্ট রোডের যানজটে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
FacebookTwitterShare
রাজধানীর আব্দুল্লাহ্পুর- এয়ারপোর্ট রোডে গত কয়েকদিন ধরেই যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষজন। সকালে অফিসগামী মানুষদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। তার ওপর আষাঢ়ের বৃষ্টি ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সকাল থেকে মহাখালী-মিরপুর বা বাড্ডার দিক থেকে উত্তরা-আব্দুল্লাপুর-টঙ্গীগামী সব যানবাহনকে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে উল্টো দিকের সড়কেও।
surjodoy.com
রাজধানীর দিক্ষন খান ট্রান্সমিটার এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির বলেন পল্টন অফিসে যেতে ৩ ঘন্টার বেশী সময় লাগে। বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে সময় লাগেছ দেড়ঘন্টার বেশী।
ভুক্তভোগী নুশরাত জানান, আমরা আসলে খুবই অসহায়। হাতে অতিরিক্ত নিয়ে বের হওয়ার পরেও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি না। সরকারের কোনো চিন্তাতেই নেই আমরা এমন কষ্ট করি রাস্তায়।
The Daily surjodoy
জানা গেছে, ভোরের দিকে টঙ্গীতে একটি মিনি ট্রাক রাস্তার গর্তে আটকে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে রাস্তার উন্নয়ন কাজ এবং বৃষ্টির কারণে পানিবদ্ধতায় আব্দুল্লাপুর অংশের রাস্তায় গর্ত তৈরি হয়েছে। এজন্য গাড়ির ধীরগতিও যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীরা।
The Daily surjodoy
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল থেকেই এমন যানজটের ভোগান্তি পড়ে অনেককে বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী এবং আব্দুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা সব পরিবহনই যানজটে নাকাল অবস্থা। একে তো বৃষ্টি তারওপর যানজট। দুই মিলিয়ে বেশ বেকাদায় যাত্রীরা।
The Daily surjodoy
সাইফুল নামের একজন জানান, রাস্তায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি। কোন সময়ে গাড়ি একটু সামনের দিকে যাচ্ছে, আবার থেমে যাচ্ছে। অফিসের সময় রাস্তাতেই শুরু হয়ে গেল, কিন্তু অফিসে আর পৌঁছাতে পারা গেল না। শুধু প্রধান সড়কে নয়, উত্তরার বিভিন্ন সংযোগ সড়কেও বেশ যানজট দেখা গেছে।
The Daily surjodoy
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শুরু হওয়া যানজট বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছে।
সঠিক সময়ে অফিসের পৌঁছানোর উদ্দেশে হেঁটে রওনা দিয়েছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ এক অদ্ভূদ বিড়ম্বনায় পড়েছি। সকাল সকাল উঠে অফিসে ঠিক সময়ে পৌঁছানোর জন্যে বের হয়ে রাস্তায় আটকে গেছি। গাড়ি তো আর নিজে ঠেলে নিয়ে যেতে পারি না। তাই হেঁটেই যতটুকু যাওয়া যায়।
The Daily surjodoy
যনজটের কারণ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা) সাইফুল হক বলেন, আজ সকাল থেকেই এ সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে। মূলত আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের কাজ হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় কাঁদাযুক্ত ও সরু হয়ে গেছে। ফলে এ সড়কে যানজটটা দেখা দিয়েছে।