নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চতুর্থ ধাপে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছেন দুই হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা।
সোমবার(১৫ই জানুয়ারি) দুপুরে তাদের বহনকারী নৌ-বাহিনীর ৫টি জাহাজ ভাসানচরে পৌঁছে।
ভাসানচরে আসার পর পরই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা।
নৌ-বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন।
নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে জানা যায়,চতুর্থ ধাপের প্রথম অংশ আজ এসেছে। মঙ্গলবার আরও এক হাজার ৬শ রোহিঙ্গা ভাসানচরের আসার কথা রয়েছে।এর জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সোমবার চতুর্থ ধাপের প্রথম অংশে আসা রোহিঙ্গাদের দলটিকে স্বাস্থ্য পরিক্ষা শেষে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়্যার হাউজে। সেখানে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে ধারণা দেন।ওয়্যার হাউজে তাদেরকে দুপুরের খাওয়ানো হয়।
এর আগে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে দুই হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে রোববারই কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছান এসব রোহিঙ্গারা। রোববার বেলা সোয়া ১২টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে প্রথম দফায় ২২টি গাড়িতে ১ হাজার ১৫২ জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।একই দিন বিকেলে দ্বিতীয় দফায় ১৭টি গাড়িতে চট্টগ্রাম পাঠানো হয় আরও ৮৬২ জনকে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্র জানায়,এর আগে ৩ দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ৬ হাজার ৬৮৮ জনকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
২০২০ সালের ০৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় স্থানান্তর করা হয় ১ হাজার ৬৪২ জনকে। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জনকে স্থানান্তর করা হয়।এরপর চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় স্থানান্তর করা হয় ৩ হাজার ২৪২ জনকে।
এবিষয়ে,হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসেন জানান,ভাসানচরের আশ্রয় শিবিরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের। ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগে আসেন আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..