আকাশ মার্মা মংসিং বান্দরবানঃ
Facebook Twitter Instagram share
যেকোনো সরকারি বন্ধ, ঈদ, পূজা আর নতুন বছরের শুরু ও বিদায়সহ বছরের বেশিরভাগ সময় জুড়ে বান্দরবানে ঢল নামে পর্যটকের। প্রতিবছর ঈদের এই দিনে পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাকে বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, চিম্বুকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র।
Surjodoy.com
হোটেল-মোটেলগুলোতেও তীল ধারণের ঠাঁই না থাকলেও এবার ঈদের আনন্দের চিত্রটা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। করোনা মহামারির কারণে বন্ধ রয়েছে জেলার সব বিনোদনকেন্দ্র।
The Daily surjodoy
আর এ কারণে বান্দরবানে এবার দেখা মেলেনি পর্যটকদের, ঈদে পর্যটকরা ঘুরতে না আসায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো প্রাণহীন অবস্থায় রয়েছে, নেই কোলাহল, নেই উৎসবের কোনো আমেজ। প্রতিবছর ঈদে প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় থাকে। কিন্তু এ বছর জেলায় ‘লকডাউন’ থাকায় পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। আর তাই নেই কোথাও কোনো ভিড়।
The Daily surjodoy
বান্দরবান আর্মি পাড়া রবিউল বলেন, প্রতিবছর ঈদে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নীলাচল ও মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগের পাশাপাশি সারাদিন আনন্দ উদযাপন করি, কিন্তু করোনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
The Daily surjodoy
তিনি আরো বলেন, ঈদ মানে আনন্দ আর ঈদ মানে খুশি, তবে গত বছর ও এ বছর ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারছি না ভালোভাবে। কেননা বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ তাই কোথাও ঘুরতে পারছি না, সেই সঙ্গে যারা আত্মীয় স্বজন বান্দরবান আসতে চাইছে তাদের নিয়ে কোথাও ভ্রমণ করতে পারছি না।
The Daily surjodoy
বান্দরবানের হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসন থেকে সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার নিদের্শনা দেওয়ার পর থেকেই বান্দরবানে কোনো পর্যটকের আগমন হচ্ছে না। কোনো পর্যটক হোটেল-মোটেলে না আসায় আমরা বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল বন্ধ করে কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দিয়েছি।
The Daily surjodoy
তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর ঈদকে ঘিরে আমরা জাঁকজমক ব্যবসা করি এবং সারা বছরের বেশিরভাগ মুনাফা এ সময়ে সংগ্রহ হয়। কিন্তু এবারের ঈদে বান্দরবানে নেই কোনো পর্যটক নেই তাই আমাদের ব্যবসাও নেই।
The Daily surjodoy
এদিকে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১লা এপ্রিল থেকে বান্দরবানের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে এবং এরপর পরই বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন নেই বললেই চলে।
The Daily surjodoy
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভালো হয়ে গেলে আমরা আবার বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেব এবং পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেব।