কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুই সন্তানের এক জননী (৪০) কে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের উত্তর দলদলিয়া নাপিতপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝঁড় উঠেছে।
ভুক্তভোগি পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়ন নাপিতপাড়া গ্রামের তারা পদ সাহার পুত্র রনজিৎ কুমার সরকার দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি ওই গৃহবধুকে নানাভাবে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন ওই গৃহবধুর স্বামী রাতে দোকানে ঘুমানোর সুবাদে রনজিৎ কুমার সরকার ওই গৃহবধুর বাড়িতে প্রবেশ করে। পারিবারিকভাবে পরিচিত হওয়ায় দরজা খুলে বের হলে রনজিৎ তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে তার আত্মচিৎকারে স্বামী মজনুসহ এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে রনজিৎ পালিয়ে যায়। তিনি দলদলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ওই গৃহবধুর স্বামী মজনু মিয়া পেশায় একজন রিকশা চালক। সম্প্রতি তার রিকশাটি নষ্ট হয়ে গেলে পরিবারটির পাশে দাড়ায় রঞ্জিত। অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ওই গৃহবধুর উপর কু-নজর পড়ে তার ।
গৃহবধুর স্বামী মজনু মিয়া বলেন, রনজিৎ সম্পর্কে কাকা হয়।তার জমিতে আমি মুদির দোকান করে আসছি। সেই সুবাদে তার সাথে পরিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। যাকে কাকা ডাকি বাপের সমতুল্য, তিনি কিভাবে এ ঘটনা ঘটালেন।
এ বিষয়ে রনজিৎ কুমার সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তার বাড়ীতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।