কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারি কর্মচারীর নেতৃত্বে বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি-ঘরের দরজা-জানালা ভাংচুর করে পরিবারের দুই সদস্যকে আহত করেছেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবার থানায় অভিযোগ করেছেন।ঘটনাটি ঘটেছে, রামেশ্বর শর্মা এলাকায়।
বীরমুক্তিযোদ্ধার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের রামেশ্বর শর্মা গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে সহকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী (ধরনীবাড়ি ইউনিয়নে দায়িত্বরত) নজরুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশি নছিয়তুল্লাহ’র ছেলে মিনহাজুল ইসলামের জমি ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ৪ নভেম্বর এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নজির হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম খোকন মারামারি ভেঙ্গে দিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেন। এ সময় এলাকার প্রভাবশালী নজরুল ইসলাম ও তার পক্ষীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে খোকনের উপর চড়াও হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন ৫ নভেম্বর সকালে সহকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল দূর্বৃত্ত খোকনকে মারার জন্য মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়ি-ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খোকন ও পুত্রবধু নিলুফা ইয়াসমিন লাভলী বেগমকে মারধর করে আহত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন গুরুত্বর আহত লাভলী বেগমকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি এখনও কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আজিজুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে ৫ নভেম্বর রাতে উলিপুর থানায় অভিযোগ করলেও ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি বলে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের অভিযোগ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নজির হোসেন তার বাড়িতে হামলা ও পুত্রবধুকে আহত করার ঘটনার বিচার দাবী করে বলেন, তিন দিন পূর্বে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবুও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেদওয়ান ফেরদৌস সজিব জানান, লাভলী বেগম চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভাল।
উলিপুর থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমীন বলেন, বিষয়টি তদান্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।