বরিশাল ব্যুরো: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ইন্টার্ন নারী চিকিৎসককে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে সেখানকার চতুর্থ শ্রেণির দুই কর্মচারীকে মারধর করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেনের কাছে বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে নারী সহকর্মীকে উত্ত্যক্তের বিচার দাবি করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেছেন, তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করবেন। যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
মারধরের শিকার দুই কর্মচারী (অফিস সহায়ক) দিদুরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেনের কাছে বিচার চাইতে যান তাদের অন্যান্য সহকর্মীরা। তারা সকলেই হাসপাতালের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।
হাসাপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৭ জুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তিনি তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ছিলেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, ২৮ জুন দিদুরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম নানা অজুহাতে একাধিকবার তার সহকর্মীর ওই কক্ষে প্রবেশ করে এবং তাকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ওই চিকিৎসক। পরে তিনি বিষয়টি মুঠোফোনে তার অন্যান্য সহকর্মীদের জানান।
ভুক্তভোগী দুজন জানান, ২৯ জুন রাতে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসে নিয়ে তাদের মারধর করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। দিদুরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম বলেন, তারা ইন্টার্ন চিকিৎসকের রুমে ভুলে ঢুকে পড়েছিলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমাও চেয়েছেন।
এদিকে, মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে উত্ত্যক্তের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তারা তালবাহানা করছে বলে দাবি করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। অপরদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. মোদাচ্ছের কবির কর্মচারীদের মারধরের ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
Leave a Reply