সুজন সারোয়ার,টঙ্গী : ‘করোনাযোদ্ধা’র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কাছ থেকে স্বীকৃতি পেলেন গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব পিস ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে একটি সনদও দিয়েছেন।
এ ছাড়া আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব পিস কর্তৃক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০২০-২১ এর জন্য ফেলো মনোনীত হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। মহামারি করোনা ভাইরাস শুরু থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে আলোচনায় আছেন তিনি। কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে শুরু থেকেই সক্রীয় ছিলেন জাহিদ আহসান রাসেল। গাজীপুর এলাকায় স্বাস্থ্য সহযোগিতা থেকে শুরু করে বিপদগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া ক্রীড়া অঙ্গনে করোনার শুরু থেকেই অসহায়দের আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমতে ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ক্রীড়াবিদের জন্য ১ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের অসহায় ক্রীড়াবিদদের সাহায্যে আরো ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন অর্থমন্ত্রণালয় থেকে। এছাড়াও কোনো অসহায় ক্রীড়াবিদের মা-বাবা কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এই সহযোগিতার বাইরে ছিলো না তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও। হিজড়া, সেলুনের কর্মচারী, ফুটপাতে রাত কাটানো মানুষ, রেলওয়ে স্টেশনের ছিন্নমূল মানুষ এবং মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। আত্মসম্মানের ভয়ে যারা হাত পাততে পারেন না এমন মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে রাতের আঁধারে খাদ্য পৌছে দিয়েছেন মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বিরতিহীন কঠোর পরিশ্রমে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। করোনা মোকাবিলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সনদপত্র দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। এছাড়াও আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব পিস কর্তৃক শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০২০-২১ এর জন্য ফেলো মনোনীত হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। করোনা লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকা এছাড়াও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসনসহ সরকারি সব দপ্তর, সাংবাদিক, জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেছেন। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের অফিসে আসা যাওয়া ও নমুনা সংগ্রহের সুবিধার্থে গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিস এবং তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজে একটি করে মাইক্রোবাস প্রদান করেছেন। ডাক্তার-নার্সদের সমন্বয়ে মোবাইল টিম মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। নিজে তদারকি করে গাজীপুরের মানুষের সরকারী সাহায্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন। গাজীপুরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মাধ্যমে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার আগাম বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠকদেরকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহ প্রদান, অসহায় গরিব কৃষকদের ধান কাঁটাতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনকে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। নিজে ঝুঁকির মধ্যে থেকেও করোনার এ আপদকালীন পরিস্থিতিতে দিন-রাত অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তার গানম্যান করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তারপরও জাহিদ আহসান রাসেলকে দমিয়ে রাখা যায়নি। এছাড়া গত ঈদুল ফিতরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে রক্তের শূন্যতা পূরণ করতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির আয়োজনও করেছিলেন।