1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
কলেজছাত্রীর পেটে ব্যান্ডেজ, দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে -আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া উলিপুরে ছাত্রলীগ নেতা সিদ্দিকুর গ্রেফতার পাইকগাছার রাড়ুলীর বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কার, খাল খনন ও সুইচগেট নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান চট্টগ্রাম নগরীতে অনুষ্ঠিত হলো নবজাগরণের স্বাক্ষর কর্মশালা উলিপুরে জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে খ্রীস্টধর্মালম্বীদের বড়দিন উৎসব পালন মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা রবিন খান পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি মনোনীত চকরিয়ায় ইটভাটা গুলো গিলে খাচ্ছে পাহাড় ও বন রহস্যজনক কারণে নিরব প্রশাসন পাইকগাছায় ৩১৪কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও ৪২ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি -শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন

কলেজছাত্রীর পেটে ব্যান্ডেজ, দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০, ৯.১৭ এএম
  • ২১৮ বার পঠিত

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার বরুড়ায় পেটের ভেতরে ব্যান্ডেজ এবং গজ রেখেই নাফসি জাহান নামে এক কলেজছাত্রীর অপারেশন সম্পন্ন করেন দুই চিকিৎসক। জেলার বরুড়া উপজেলা সদরের ফেয়ার হসপিটালে এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ওই হসপিটালের দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার চার মাস পর রোববার বিকালে ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর বাদী হয়ে কুমিল্লার আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

নাফসি জাহান (২২) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার বিবরণ এবং ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ এপ্রিল রাতে পেটের ব্যথা নিয়ে জেলার বরুড়া পৌর এলাকার কাশেম শফিউল্লা কাজলের মেয়ে নাফসি জাহান বরুড়া উপজেলা সদরে ফেয়ার নামে বেসরকারি একটি হসপিটালে ভর্তি হন। এ সময় ওই ছাত্রীর অ্যাপেন্ডিসের ব্যথা বলে অনুমান করেন চিকিৎসকরা। পরে ১৩ এপ্রিল ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব নাফসির অপারেশন করেন। অপারেশনের পর ছাত্রীর পেটে ব্যান্ডেজ এবং গজ রেখেই চিকিৎসক সেলাই সম্পন্ন করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

অপারেশনের পরপরই ওই ছাত্রী পেটে আবারও তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথা কমাতে ডা. ইকবাল ব্যথানাশক এবং এন্টিবায়োটিক ওষুধ লিখে দেন। এভাবে প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও রোগীর পেটের ব্যথা কমেনি। পরে রোগীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর তার বোনকে আলট্রাসনোগ্রাফি করান। এতে তার পেটে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায়।

পরে ১৮ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. আজিজ উল্লাহ ও ডা. মাহমুদ রোগীকে পুনরায় অপারেশন করান। এ সময় ছাত্রীর পেট থেকে গজ এবং পুঁজ বের করা হয়।

তানজিদ সাফি অন্তর অভিযোগ করে বলেন, ডা. ইকবাল ও রাজিব আমার বোনের সঠিক রোগ নির্ণয় ছাড়াই অপারেশন করেন, পরে পেটে ব্যান্ডেজ এবং গজ রেখেই সেলাই করেন। আবার ব্যথা হলে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এন্টিবায়োটিক প্রেসস্ক্রাইব করেন। ৩ মাস এমন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধে আমার বোনের অবস্থা আরও খারাপ হয়। আমি এ ঘটনায় জড়িত দুই চিকিৎসকের সঠিক বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লার পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এ বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান, অপারেশনের দিন তিনি ছিলেন না, রোগী যেদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি গেছেন সেদিনও তিনি হাসপাতালে ছিলেন না। তবে তিনি রোগীকে ওষুধ দিয়েছেন।

কীভাবে রোগীর অবস্থা না বুঝে ওষুধ দিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. ইকবাল জানান, ওই সময় রোগীর মাসিকের সময় ছিল। আমি মাসিক হবে মনে করে ওষুধ দিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে অপারেশনকারী ডাক্তার রাশেদ উজ-জামান রাজিব বলেন, আমি যথাযথভাবেই চিকিৎসা করেছি। এছাড়া অপারেশনে কোনো প্রকার সমস্যা হলে আগেই অবহিত করার দরকার ছিল। ঘটনার চার মাস পর এমন অভিযোগ করা ঠিক নয়। তারপরেও আমি বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews