আহমেদ সাব্বির রোমিও:
কাপ্তাই হ্রদে নিষিদ্ধ সময়ে মৎস আহরণের
বিরুদ্ধে জোরদার তৎপরতার ভূমিকায় নৌপুলিশ
আতিকুল ইসলাম। ডিআইজি
প্রিয়াংকা ইসলাম : কাপ্তাই হ্রদে নিষিদ্ধ সময়ে মৎস আহরণের বিরুদ্ধে জোরদার তৎপরতার ভূমিকায় নৌপুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন, নৌপুলিশের ডিঅাইজি অাতিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, নৌ পুলিশ সৃষ্টিলগ্ন থেকে মৎস্য ও জলজ সম্পদ রক্ষায় বদ্ধ পরিকর৷ প্রতি বছর মে, জুন, জুলাই এই তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার মৎস আহরণ,পরিবহন ও বাজারজাত করণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর উক্ত তিন মাসে নৌ পুলিশ ও বিএফডিসি, রাঙামাটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কারেন্ট জাল, জলযান ও বেআইনি ভাবে ধৃত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করে যাচ্ছে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনছে। যার ফলশ্রুতিতে কাপ্তাই হ্রদ দিন দিন মৎস্য উৎপাদন ও আহরণের পরিমান এবং এর সঙ্গে অর্জিত আয়ের পরিমাণও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৬৬ প্রজাতির দেশীয় মাছ এবং ৬ প্রজাতির বহিরাগত মাছ রক্ষায় এবছর রাঙ্গামাটি সদর,মাইন্দার মুখ,বালুখালী; বুড়িহাট,কাপ্তাই চেকপোস্ট ও মহালছড়ি চেকপোস্টে নৌ পুলিশের প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে মাছ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১০৫৭৭.৭৬ যার আর্থিক মূল্য ছিল ১৩.৫০ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ বছরে ( মে পর্যন্ত) ১২৬৯৪.৮১ টন মৎস্য উৎপাদন হয় যা থেকে অর্জিত অর্থের পরিমাণ ১৬.১৬ কোটি টাকা। সেই অনুপাতে ২০২০-২০২১ বছরের লক্ষমাত্রা ১৫২৩৪.০০ টন, মূল্যমান ১৯.৪০ কোটি টাকা ।
নৌ পুলিশের ডিআইজি জনাব মো. আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার), ২০২০-২০২১ এর কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান,
‘নৌ পুলিশ কাপ্তাই লেকে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এবং এর উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর তৎপর এবং নৌ পুলিশ সদস্যের অভিযানিক তৎপরতা এ বছর ১৯,০০০- টন মাছ উৎপাদনে সহায়তা করবে এবং আশা করা যায় প্রায়২৪ থেকে ২৫ কোটি টাকা অর্জিত হবে । মৎস্য, নদী এবং পরিবেশ রক্ষায় নৌ পুলিশের অভিযান চলবে।’
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধেও নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। যে সকল নৌ যান সমূহ স্বাস্থবিধি অমান্য করছে তাদের শাস্তির আওতায় আনছে।