আব্দুল্লাহ আল মামুন:
গাজীপুরের কাশিমপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী হামলা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার সকালে কাশিমপুরের বিশ্বাস পোল্ট্রির হলরুমে ভুক্তভোগীরা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ইদ্রিস আলী অভিযোগ করেন, কাশিমপুরের বারান্ডা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার সময় তিনি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি জানান, মালেক মালু ও তার সহযোগীরা তাকে এবং তার সঙ্গীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। এসময় তারা বিশ্বাস পোল্ট্রিতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
ইদ্রিস আলী আরও অভিযোগ করেন,ঘটনার পর তার নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আরেক ভুক্তভোগী জানান, মালু স্থানীয় সম্মানিত ব্যক্তিদের ছবি ফেসবুকে দিয়ে তাদের মানহানির চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিক ও প্রশাসনের প্রতি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাবিল উদ্দিন মৃধা, মোঃ ইব্রাহীম, মাওলানা সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ইরাক প্রবাসী আবদুর রহমানের সঙ্গে তার চাচাদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন তার জেঠার জানাযায় যাওয়ার পথে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করা হয়। হামলাকারীরা তার কাছ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার একটি আইফোন এবং মোটরসাইকেল কেনার জন্য রাখা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
হামলার পর প্রবাসী আবদুর রহমানকে সন্ত্রাসীরা মামলা না করার জন্য মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়।প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মন্তব্য
এই বিষয়ে সাইফুল ইসলাম পাপ্পু জানান, জানাযার আগে মৃত গিয়াস উদ্দিনকে নিয়ে কটূক্তি করার কারণে আবদুর রহমানের সঙ্গে আত্মীয়দের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, “হামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।