শামীম সরকার নিজস্ব প্রতিবেদক্ঃ
আসন্ন ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সাংসদ মো. আফজাল হোসেন এমপি কে তার নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবারের মধ্যে তাঁর নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন নিকলী উপজেলা থেকে সরে যাওয়ার কথা বলা হয় এই নির্দেশনায়। গত শুক্রবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাংসদ আফজাল হোসেন তাঁর নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন নিকলীর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এতে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। আচরণ বিধিমালা ২০১৬-এর ২২ বিধিতে উল্লেখ রয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এ কারণে তাঁকে শনিবারের মধ্যে এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে রয়েছে বাজিতপুর ও নিকলী ২টি উপজেলা। এই আসনে আফজাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২য় ধাপে শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে শেষ হলো তার নির্বাচনী এলাকা বাজিতপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সেখানে ৩ টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ৩ জন। উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে সব কটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক বিজয়ী হয়।
তৃতীয় ধাপে ঘোষিত এলাকার মধ্যে সাংসদের আরেক নির্বাচনী এলাকা নিকলী রয়েছে। সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে নিকলী। সম্প্রতি তিনি একে একে ইউনিয়নগুলোয় গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। সর্বশেষ গতকাল কারপাশা ইউপি চত্বরে দলীয় প্রার্থী তাকি আমান খানের নির্বাচনী সভা ছিল। ওই সভায় সাংসদ উপস্থিত হন এবং প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান। একপর্যায়ে নিকলীর ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সাংসদের উপস্থিতি ও প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়ার তথ্যটি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিতে আসে। শেষে গতকাল সাংসদকে নিকলী ছাড়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।