কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নে ৬ নং ওয়াডে ১১ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় সূত্রে জানাযায় উক্ত এলাকার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে আসকার আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম। আসকার আলী ও তার স্ত্রী ফাতেমা সাংসারিক কলহ লেগেই থাকতো এবং পরসপর দুজন দুজনকে সন্দেহ করতো।সেই সন্দেহের থেকেই ৯ এপ্রিল স্বামী স্ত্রী মাঝে তুমুল ঝগড়া হলে স্ত্রী ফাতেমা প্রবিত্র কুরআান শারীফের উপরে হাত রেখে সত্যি কথা বলবেন।পরে সে সময় ঝগড়ার একসময় ফাতেমা কুরআন শারীফ হাত থেক নিচে ঢেল মেরে ফেলে দিয়ে তার উপরে দুই পা দিয়ে উঠে দারায়।পরে ১০ এপ্রিল সোমবার আবার ঝগড়ার এক পর্যায়ে ফাতেমা তার স্বামী আসকার আলীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।স্থানীয়রা আসকার আলীকে বাড়িতে দেখতে না পেলে কুরআান অবমাননার বিষয়টি জানাজানি হয়।কুরআন অবমাননার খবরটি মুহুর্তেই ছরিয়ে পরে বিভিন্ন মহলে।১১ এপ্রিল মঙ্গলবার স্থানীয় জনতা ও সর্বস্তরের মানুষ ফাতেমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি ঘেরাও করে।পরে ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে ফাতেমাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বলেন এই বিষয়টা নিয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ আসলে তাদের সামনে হাজার হাজার মানুষ একত্রে হয়ে ফাতেমার ফাঁসি দাবি করে আইনের কাছে।পরে পুলিশ ফাতেমাকে উপযুক্ত সাজা দিবে ও পুলিশের উপর ভরসা রাখতে বলে পুলিশ ফাতেমাকে থানায় নিয়ে যায়।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং প্রটেক্সের জন্য কুড়িগ্রাম সদর থানাতে রাখা হয়েছে।আগামীকাল কোটে দেওয়া হবে।