আব্দুর রাজ্জাক জেলা প্রতিনিধি
শুক্রবার ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩।আজকের শিশু আগামী দিনের কাণ্ডারী। বাংলায় প্রবাদ আছে, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সকল শিশুর অন্তরে। আমারা যদি আগামী দিনে সুস্থ-সবল জাতি পেতে চাই, তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই শিশুদের প্রতি যত্নবান হতে হবে।শিশুর প্রতি অবহেলা মানে সমস্ত জাতিকে অবহেলা করা। সাধারণত আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে শিশুদেরকে কম কদর করতে দেখা যায়। তারা মনে করে, শিশু তো সারা জীবন খাবেই। তাই ভালো-মন্দ শিশুকে না দিয়ে বয়স্কদের খাওয়ানো হয়। এতে করে শুধু শিশুর সুন্দর বিকাশই নষ্ট হয় না। বরং সমস্ত জাতি অপুষ্টিজনিত রোগে ভোগে। তাই শিশু দিবস উদযাপনের মাধ্যমে তাদের কাছে সঠিক বার্তা পাঠানো যায়।তাছাড়া আমাদের দেশে অনেক সময় শিশুদের উপর অনেক কাজ চাপিয়ে দেয়া হয়। যা রীতিমতো অপরাধের পর্যায় পড়ে। শুধু আইনের প্রয়োগ করেই শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়। চাই সামাজিক সচেতনতা।
শিশু দিবস এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অনেক বাবা-মা না বুঝে সন্তানদের উপর অতিরিক্ত পড়াশোনা চাপিয়ে দেয়, যা তার পক্ষে বহন করা সম্ভব হয় না। এরপর সে শিশু যখন পেরে না ওঠে, শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। অনেক সময় বাইরে খেলতে যাওয়ার সময় তাকে পড়ার টেবিলে বসতে হয়। ফলে শিশুটির মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। শিশু দিবস উপলেক্ষে সবাই সচেতন হোক, বেড়ে উঠুক আগামীর নেতা সুস্থ-সবল ভাবে।
আর বঙ্গবন্ধুর জীবনের ইতিহাস মানেই স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস। জীবনে তিনি যা কিছু করেছেন সবকিছু দেশের জন্যই করেছেন। মাত্র ৫৫ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। সময়ের বিচারে এটি সংক্ষিপ্ত হলেও তার জীবনের দৈর্ঘ্যের আকারে তার কর্মের প্রস্থ ছিল অনেক বেশি। তার জন্ম না হলে আজ আমরা স্বাধীনতা পেতাম না।
তারি ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ১৭ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলা চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা,বীর মুক্তিযোদ্ধা,ভূরুঙ্গামারী থানা,ইসলামী ফাউন্ডেশন, আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠন,কবী নজরুল একাডেমি শিল্পকলা,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, স্কাউট দলসহ অনেকই।
শ্রদ্ধা জানানোর পরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা,পুরুষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।এই সকল সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা প্রশাসন ভূরুঙ্গামারী