আব্দুর রাজ্জাক জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বিশ্ব যক্ষা দিবস পালিত হয়েছে।২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’।তবে এ বছর পহেলা রমজান ২৪ তারিখ ও সরকারি ছুটিরদিন হওয়ায় একদিন আগেই ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হচ্ছে।এই রোগের ক্ষতিকর বিশেষ দিক হলো স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই রোগটি নির্মূলে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট কক, যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলসিস আবিষ্কার করেন। যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, জীবাণু আবিষ্কারের দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ২৪ মার্চ এই দিনে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়।ভূরুঙ্গামারীতে এবারের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’আমরাই পারবো যক্ষা নিমূল করতে।
বিশ্ব যক্ষা দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডাঃ ফাতেমা খাতুন উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত),মাধ্যমে দিনটির কার্যক্রম শুরু হয়। এই বিশ্ব যক্ষা দিবসের আয়োজন করেন সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ ও আরডিআরএস ভূরুঙ্গামারী।২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের সামনে প্রথমে র্যালী ও পরে কমপ্লেক্স হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ রাকিবুল ইসলাম (modc)uhc , ডাঃ তমানুর ইয়াছমিন (mo),এবং ভূরুঙ্গামারী আরডিআরএসের জিনিফা আক্তার,শ্যামল কুমার রায়,শাহিন ইসলাম,পাপ্পু কুমার, ( mtlb) মুক্তাদির আলম ও স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় অতিথিরা আলোচনা করেন
যক্ষ্মা রোগে এখনো অনেক মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকের কাছে যক্ষ্মা টিবি হিসেবেও পরিচিত এই রোগটি। যক্ষ্মা হলো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। এই রোগটি বেশির ভাগ ফুসফুসে প্রভাবিত করে। টিবি সংক্রামক এবং রোগীর কাশি বা হাঁচির সময় মুখ ও নাক থেকে নির্গত বায়ুর মাধ্যমে অন্য লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।এজন্য সচতেন থাকতে হবে সবাইকে এবং যক্ষা রোগের লক্ষন দেখা দিলে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে বলেন ও সঠিক সময়ে যক্ষার চিকিৎসা নিলে যক্ষা সম্পূর্ণ ভাবে ভালো হয় এরকমি আলোচনা করেন উপস্থিতি বৃন্দরা।