ডেস্কঃ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দিতে র্যাবের অভিযানে ইয়াবা ও ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় নানা নাটকীয়কার পর অবশেষে কারাগারেই যেতে হয়েছে শহিদুর রহমান নামে সিআইডির পুলিশের এক পরিদর্শক ও রাকিবুল হাসান নামে টুরিস্ট পুলিশের এক দারোগাসহ পাঁচজনকে। র্যাব-১ উত্তরা ঢাকার একটি দল বুধবার (২৪ জুন) গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে। পরে বুধবার এ ঘটনায় র্যাব সদস্য মজিবুর রহমান বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে থানা থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকেলে কুমিল্লার আদালত থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতদের বুুধবার বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। দুই পুলিশসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক মোঃ সালাহ উদ্দিন। র্যাব-১ সূত্র ও মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, র্যাবের একটি দল বুধবার গভীররাতে দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকায় ঢাকা অভিমুখী একটি প্রাইভেটকার আটক করে তল্লাশি চালায়। এসময় র্যাব ওই প্রাইভেটকার থেকে ১৮ হাজার ৪৭০ পিস ইয়াবা, ৪৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। এ সময় মাদক বহনের দায়ে র্যাব ওই প্রাইভেটকারের আরোহী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বনামালী গ্রামের জোর্ডান উদ্দিন আকন্দের ছেলে রাকিবুল হাসান (৪১), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পশ্চিম শিকাড়মঙ্গল গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে শহীদুর রহমানকে (৩৫), মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার বালাসুর গ্রামের হেলাল ভূঁইয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৭), ঢাকার উত্তরা ১৪ নং সেক্টরের বাসা নং-৬০ এর দ্বীন ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন (৩২), রাজশাহীর বাঘা থানার বাদুভাঙ্গা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে শাহ আলম (৩০) গ্রেফতার করে। র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহীদুর রহমান ময়মনসিংহ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ও রাকিবুল হাসান গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার সাবেক সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক মোঃ সালাহ উদ্দিন জানান, দাউদকান্দি মডেল থানায় র্যাবের দায়েরকৃত মামলায় ২ পুলিশসহ ৫ জনকে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।