কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকীর শেষ কর্ম দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ফুলেল শুভেচছা জানান আরেফে রাব্বানী শাহ্ আবদুস্ সোবহান রিসার্চ সোসাইটি। বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ সোসাইটির সম্পাদক এনায়েত মোর্শেদ বুলবুল,সহ- সম্পাদক গোলাম হাসনাঈন নাইম,সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুদ্দিন আহমেদ সাগর। কার্যকরি সদস্য মাহমুদ উল্লাহ,জি.এস.এ রায়হান,গোলাম হোসাইন তামজিদ, সাংবাদিক সাকলাইন যোবায়ের ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মুন্না প্রমূখ।
ডাক্তার আজিজুর রহমান সিদ্দিকী কুমিল্লার রত্নগর্ভা মা মরহুমা কাজী খাদিজা বেগম ও গর্বিত পিতা মো. আনোয়ারুল আজিম সিদ্দিকীর জেষ্ঠ্য সন্তান। তাদের পরিবারের ৪ ভাই ও ১ বোন সবাই ডাক্তার। কুমিল্লার এক পরিবারের মধ্যে ৫ জন ডাক্তার হওয়ার কারণে তাঁর মাকে রত্নগর্ভা পদকে ভূষিত করা হয়।
তার জন্ম কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামে। ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী ১৯৮০ সালে কুমিল্লা হাই স্কুল থেকে সায়েন্স বিভাগ মেধা তালিকায় ১৭তম স্থান অর্জন করে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৮২ সালে কোটবাড়ি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও কলেজ থেকে ৫ বিষয়ে লেটার মার্কসহ এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৯০ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন এবং ১৯৯৫ সালে সরকারী চাকুরীতে যোগদান করেন।
প্রথমে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন, মেহেরপুরের সিভিল সার্জন, প্রায় সাড়ে ৫ বছর ধরে তিনি বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডাইরেক্টর, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে স্বাস্থ্য অধিদফতরে কোভিড-১৯ ইআরপিপি প্রকল্প পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। করোনায় ক্রিটিকাল অবস্থায় দায়িত্ব পালনকালে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন।
নিজ জেলা কুমিল্লা ম্যাটস এর প্রিন্সিপাল পদে কর্মরত ছিলেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তিনি ৩য় গ্রেডে পদোন্নতি পেয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হলেও আগের পরিচালক এর বদলিজনিত কারণে তিনি গত বছরের ২৪ জানুয়রি যোগদেন।
আজিজুর রহমান সিদ্দিকী কুমিল্লা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ও স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির দেড় যুগ টানা কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি বহু সামাজিক সংগঠন এবং লেখালেখিসহ নানাবিধ মানবিক কাজে জড়িত আছেন।
এ সময় অনুভুতি ব্যাক্ত করতে যেয়ে তিনি বলেন, আমি জীবনে সৎ ছিলাম। নীতি ও নৈতিকতার প্রশ্নে কখনও আপোষ করিনি। প্রায় সাড়ে ৫ বছর সময় চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন দায়িত্ব পালন করার সময় অফিসের দেওয়া সরকারি গাড়ি দিয়ে নিজ জেলা কুমিল্লায় কখনও আসিনি। সরকারি গাড়ি কখনো ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাবহার করিনি। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যতদিন পরিচালক ছিলাম আমি কুমেকের জন্য কি কি কাজ করেছি তা আপনারা হাসপাতালের ডাক্তার, স্টাফ ও রোগীদের থেকে খোজ নিলে জানতে পারবেন। নিজের দিক থেকে শতভাগ সৎ ও নিষ্ঠাবান থাকার যে তৃপ্তি তা আপনি লাখ টাকা দিয়ে পাবেন না। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক তাঁর আদর্শ আমার শিরায় বহমান তাই আমি দূর্নীতি নিজে কখনো করিনি এবং দূর্নীতি টলারেন্স করতে পারিনা।