নিজস্ব প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাতিয়াতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে পারুল খাতুন (৬৫) নামের মহিলা। এ সময় বসতবাড়ি ভাংচুরসহ তাদেরকে কুপিয়ে জখম ও বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে। পারুল খাতুন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
পারুল খাতুনের ছেলে সজল জানান, তাদের বসতভিটার পাশে বাঁশ বাগান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাচাদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় পারিবারিক বাঁশ বাগান থেকে বাঁশ ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহিদুল বাঁশের লাঠি হাসুয়া নিয়ে আমার বাড়ির উঠানের এসে আমাকে নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন আমার স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩০) ঘর থেকে বাহির হয়ে মহিদুল কে বলেন চাচা আপনি আর গালিগালাজ করেন না। তখন মহিদুল হুকুম দেয় তার মেয়ে জলি কে তার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে আমার স্ত্রী মাথা সরিয়ে নিলে বাম হাতের কনুইয়ের উপর লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনাটি গত ১২/২/২০২১ ইং তারিখে দুপুরে হঠাৎ আমার চাচা মহিদুল সহ চাচাতো বোনেরা মিলে আমাদের বসত বাড়ি ইট পাটকেল মারতে থাকে নিষিদ্ধ করায় আমার মায়ের উপর ও আমার স্ত্রীর উপর আতঙ্কিত ভাবে হামলা করে। এ সময় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় আমার মা নিষেধ করতে গেলে মারপিট করেন ১ মহিদুল হক বিশ্বাস,২ বিউটি খাতুন,৩,বিথী খাতুন,৪ জলি খাতুন,৫, জুথি খাতুন , তারা অমানবিকভাবে মারধর করেছে আমার পরিবারের উপর আমার মা খালা বোন স্ত্রী সহ পরিবারের সকল সদস্যদের উপর । বাঁশ ও লাঠিসোটা দিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেছে তারা।
আমার মা বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা আমার মাকে কুপিয়ে জখম ও বেধড়ক মারপিট করে ফেলে রেখে যায়। আমার স্ত্রীর গায়ের কাপড় টেনে হেঁচড়ে ফেলেন এবং শ্রীলতাহানি করে। পরে তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপালে ভর্তি করা হয়। সজলের বোনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাদের কেউ নাই আমরা গরীব মানুষ তাই শুধু মার খেয়ে যাই ওদের হাত লম্বা ওদের সাথে পারা যায় না অনেক ক্ষমতা দেখাই আল্লাহ ওদের বিচার করবে গরিবের বিচার নাই।
এ বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে মহিদুলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে বাড়ি পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়া ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাদের কাছে ৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।