কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
তৃতীয় দফায় কুড়িগ্রামের তিন উপজেলার ২৭ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল থেকে ভোট শুরু হয় শেষ হয় বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। তবে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোট কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়া কেন্দ্রগুলোতে ধীরগতির কারণে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন ভোটাররা। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে কয়েকটি কেন্দ্রের অপর্যাপ্ত পরিসরের কারণে ভোটগ্রহণে ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এ নিয়ে কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঘোগাদহ ইউনিয়নের রসুলপুর কমিউনিটি ক্লিনিক কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা হালিমা বেগম(৫৫) ও আকলিমা বেগম (৬০)জানান, সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট কক্ষে প্রবেশ করতে পারেনি। ভোটগ্রহণে ধীরগতির কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে ধৈর্যহারা হয়ে পড়েছি। হালিমা ও আকলিমাসহ লাইনে দাঁড়ানো নারী ভোটাররা। একই ক্ষোভ পুরুষ ভোটারদেরও। এই কেন্দ্রের ভোট কক্ষ আকারে এতই ছোট যে এজেন্টরা কক্ষের বাইরের বারান্দায় বসে দায়িত্ব পালন করছিলেন।ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. ওবায়দুল্লাহ ভোটারদের ক্ষোভের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এই কেন্দ্রটি ভোটগ্রহণের জন্য কোনোভাবেই উপযুক্ত নয়। এখানে বুথ স্থাপন এমনকি ভোট গণনা করার জন্য পর্যাপ্ত স্থান নেই। এরপরও এমন স্থাপনায় ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করাটা দুঃখজনক।’সরকারি দায়িত্ব পালন করতে বাধ্যবাধকতা থাকায় আমার কিছুই করার নেই। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও তারা বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেননি।
একই চিত্র দেখা গেছে ইউনিয়ন ভূমি অফিস কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের ভোট কক্ষগুলোতে অপর্যাপ্ত পরিসরে প্রার্থীর এজেন্টরা ঠাসাঠাসি হয়ে বসতে বাধ্য হয়েছেন। ভোটগ্রহণে ধীরগতির কারণে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ভোটারদের লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ভোট কক্ষের আকার নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা।
ঘোগাদহ কাজলদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকার। ওই কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা জহুরুল হককে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ইউনিয়নের অন্যান্য কেন্দ্রে গুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের খবর পাওয়া গেছে।