কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে ধরলা নদীর ভাঙ্গনরোধে নির্মাণাধীন বাঁধ ঘেঁসে বলগেড(বালুবাহী জাহাজ), পাইপ লাইন ও ড্রেজার স্থাপনসহ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের প্রস্তুতি নেয়ার অফিযোগ উঠেছে ।
বালু উত্তোলন করা হলে নির্মাণাধীন বাঁধসহ ঘরবাড়ি, শতশত একর ফসলি জমি ও কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী মহাসড়ক টি হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তাই বালু উত্তোলন বন্ধে প্রতিকার চেয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের নানকার, মোল্লা পাড়া, ড্রাইভার পাড়া, কলেজ পাড়া ও জগমনের চরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের নিমিত্তে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে ধরলা নদীর নির্মাণাধীন বাঁধ ঘেঁসে বালু উত্তোলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বালু ব্যবসায়ীরা ।
ফলে চলমান প্রকল্পসহ বসতবাড়ি, আবাদি জমি ও কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী মহাসড়ক টি হুমকির মুখে রয়েছে। একদিকে চলছে প্রকল্পের জিও ব্যাগ ফেলার কাজ আর অপরদিকে চলছে একই এলাকা থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তলোন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বালু খেকোরা
ড্রেজার দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা ড্রেজার ম্যানেজার মো.মেহেদি হাসানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ড্রেজার স্থাপন করা হয়েছে সত্যি তবে বালু এখনো তোলা শুরু হয়নি। তিনি আরো বলেন, কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী মহাসড়কের প্রশ্বস্ত উভয়দিকে ৪ ফুট করে বর্ধিতকরণ হবে।
বর্ধিত সড়কের কাজের প্রয়োজনীয় বালু এখান থেকে সরবরাহের লক্ষ্যে ড্রেজার বসানো হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হবে। প্রশাসনের অনুমতি না পেলে বালু উত্তোলন করা হবে না। ড্রেজার গুটিয়ে নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, আমি কোন অভিযোগ পাইনি। তবে শুনেছি যে, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক স্যারের বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছে। তুবুও আমি খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।