জানাগেছে, জনৈক ছাত্রী তার নানা বাড়িতে থেকে পড়া লেখা করত। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাতায়াত করার সময় উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র সিয়ামুর রহমান খোকন তাকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্নভাবে উত্তক্ত করত।
গত ২২/১০/২০১৯ ইং তারিখে ছুটির পর বিকাল ৪ টার পর স্কুল থেকে নানার বাড়িতে ফেরার সময় সিয়ামুর রহমান খোকন (১৯) ও অপর সহযোগী শওকত আলীর পুত্র নাজমুল হাসান রনী(,২০) মেয়েটির পথরোধ করে।পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক গেন্দা খলিফার পুত্র বাবলু মিয়া(৩২)র বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়।এ সময় রনি ও বাবলু তাদের কথামত কাজ করার হুমকি দিয়ে মেয়েটি ও সিয়ামুর রহমান খোকনকে একটি ঘরে রেখে তারা বাড়ির বাইরে পাহাড়া দেয়। একপর্যায়ে সিয়ামুর রহমান খোকন মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে।
এ সময় সিয়ামের সহযোগী রনি জানালার ফাঁক দিয়ে গোপনে মোবাইলে উক্ত ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ড করে এবং ঘটনাটি প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।মেয়েটি নিজের মানসম্মান ও জীবনের ভয়ে ঘটনাটি প্রকাশ না করে চুপচাপ থাকে।
এ ঘটনার পরও সিয়াম বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিকে কু প্রস্তাব দিতে থাকে সে রাজি না হলে রেকর্ড করা ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার কথা বলে হুমকি প্রদর্শন করে।এতেও রাজী না হলে ভিডিওটি কম্পিউটারের দোকানে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে মেয়েটির আত্মীয় স্বজন ভিডিও এর বিষয়টি জানতে পেরে তারা হতভম্ব হয়ে যায়।পরে উপায়ান্তর না দেখে ১৮ আগষ্ট মঙ্গলবার তার পিতা বাদী হয়ে সিয়ামুর রহমান খোকন তার দুই সহযোগী নাজমুল হাসান রনী ও বাবলু মিয়ার নামে ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নম্বর -৫ তারিখ ১৮-০৮-২০২০।
মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে ভুরুঙ্গামারী সরকারী কলেজ পাড়া এলাকা থেকে মুল আসামী সিয়ামুর রহমান খোকনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ওসি মুহা: আতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিছু ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। আটক আসামীর বিরুদ্ধে ধর্ষন ও পন্যগ্রাফি আইনে মামলা দিয়ে তাকে কুড়িগ্রাম কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।