কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক অসহায় বিধবা নারীকে মারধর করে স্বামীর ভিটা বাড়ী থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের ফুলকুমার গ্রামের নারিকেল তলা মোড় এলাকায়।
জানা গেছে, উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের ফুলকুমার গ্রামের সাজেদ বেওয়া (৪৫) এর স্বামী গত ১৩ বছর পূর্বে মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ১ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বসত ভিটায় বসবাস করে আসছিল। গত কয়েক মাস থেকে সাজেদার ভাসুরের ছেলে হাছেন আলী (৩৬) সহ আরও অনেকে মিলে সাজেদাকে স্বামীর বসত ভিটা দখল ও উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে হাছেন আলী তার দলবল সহ সাজেদার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘর বাড়ী ভাংচুর করে।এসময় সাজেদা বাঁধা দিলে তাকে এলোপাথারী মারধর করে। তার ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া সাগর হোসেন (১৩) মাকে বাঁচাতে এলে তাকেও পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়। পরে স্থানীয়রা মা-ছেলেকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সাজেদার বিবাহিত মেয়ে স্বপ্না বেগম (২২) এর মাধ্যমে গত ৮ ডিসেম্বর বুধবার হাছেন আলীকে ১ নাম্বার আসামী করে মোট ৬ জনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করে মামলা নং- ৪।
পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত হাছেন আলীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। পরদিন বৃহস্পতিবার হাছেন আলী জামিনে মুক্ত হয়ে সাজেদার ভিটায় ঘর উঠিয়ে দখল করে এবং সাজেদা ও তার ছেলেকে বাড়ীতে না আসতে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। অসহায় বিধবা সাজেদা বেওয়া সন্তানকে নিয়ে ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
এলাকাবাসী জানান, হাছেন আলী ভুক্তভোগী নারীকে বাড়ীতে ওঠতে দিচ্ছে না। প্রতিবেশিরা আপোষ মীমাংসার জন্য কোন কিছু বলতে গেলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাছেন আলী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করলেও চাচাতো ভাই সাগরকে চড়-থাপ্পর দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু মামলাটি চলমান রয়েছে অন্যান্য আসামীদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।