কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় লাথি ও নির্যাতনে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গোলাপি বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে নিহতের স্বামী কপিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত গোলাপি বেগমের স্বামী কফিল উদ্দিন (২৯) ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের শালঝোড়া গ্রামের আঃ সামাদের ছেলে। এবং নিহত গোলাপি বেগম একই ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গফুর আলীর মেয়ে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ। কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ধলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে গোলাপী বেগমের সাথে প্রায় ৭ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের আব্দুস ছামাদের পুত্র কফিল উদ্দিন (২৮) এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপর দুটি সন্তান হলেও শৈশবেই মারা যায়। এ কারণে তাদের মধ্যে বনিবনা কম ছিল।দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
গত সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে কফিল উদ্দিন অন্তঃসত্ত্বা গোলাপীকে শারীরিক নির্যাতন ও তল পেটে লাথি মারলে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্বপন নামের স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসককে দিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে গোলাপী বেগমকে সোমবার সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি থানা পুলিশ জানার পর নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার সকাল ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক নাঈমা হক রিফাত জানান, গোলাপী বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা করা হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..