বিনোদন ডেস্ক ঃ
মিমির পোষ্য এবং মিমির জীবনে তার কাছে তাঁর বড় ছেলে চিকুর আরোগ্য কামনায় এবার প্রার্থনা করলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সম্পর্কের হিসেব-নিকেশ নয় বাদই দিলাম কিন্তু পোষ্যের মঙ্গল কামনায় কোনো জটিলতা রাখল না,শুভশ্রী।এর আগে,পরিচালক রাজ চক্রবর্তী,মিমি চক্রবর্তীর পরিবারের সদস্য ও মিমির চারপেয়ে সন্তানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
টুইটারে চিকুর চিকিৎসার খবর শেয়ার করে পরিচালক লিখেছেন, ‘আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি চিকু খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে আবার যেন ফিরে আসে’।শুভশ্রী চিকুর মঙ্গল কামনা করে লিখলেন ‘ভগবান চিকুর ভালো করুক’। এ ছাড়া চিকুর আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করেছেন, অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা, অনিন্দ্য চাটার্জী,গৌরব চাটার্জী।
অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর বাড়িতে আছে দুই চারপেয়ে পোষ্য কুকুর।চিকু ও ম্যাক্স।চিকুর বয়স আট।আর ম্যাক্স এর বয়স চার। অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর বড় সন্তান অর্থাৎ পোষ্য চারপেয়ে চিকুর শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যান্সার। কলকাতার বহু চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করেছেন অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি আগেই। তবে তাতে আশানুরূপ ফল মেলেনি।হয়নি কোনো সুরাহা।
তাই মিমি চক্রবর্তী চিকুকে নিয়ে গিয়েছিলেন চেন্নাইতে। চেন্নাইয়ে চেন্নাই ভেট পশুচিকিৎসালয় মিমি তাঁর বড় সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন।চিকুর চিকিৎসা শুরু হচ্ছে এই সপ্তাহ থেকে। তাই চিকু এখন তার মা অর্থাৎ মিমি চক্রবর্তীর কাছে ফিরে এসেছে।
বাড়িতে যদি পোষ্য থাকে তবে সে নিজের সন্তানের মতনই হয়ে ওঠে। সেও হয়ে ওঠে বাড়িটি এক সদস্য। বরং তারা কিছু বলতে পারেনা বলেই তাদের প্রতি মায়ার বাঁধন টা আরো বেশি হয়। তাদের একটু শরীর খারাপ হোক বা আনন্দ তা সবসময়ই সময় দাগ কেটে যায় অভিভাবকদের মনে।
বাড়িতে ফিরে এসে অনেক সময়,অনেক খারাপ লাগার মুহূর্ত কেটে যায় সেই পোষ্যকে আগলে রেখে জড়িয়ে ধরে। শুধু পোষ্যর উপস্থিতি ভুলিয়ে দিতে পারে অনেক যন্ত্রনা।তাই যদি সেই পোষ্যর শরীরে কোন মারণ রোগ দানা বাঁধে তবে তার অভিভাবক যে কোন যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যায় তা সেই জানে।চিকুর শারীরিক অসুস্থতার খবর চোখে জল এসেছে পশুপ্রেমীদের। আমরাও চাই মিমির চ্যাম্প চিকু যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।