ওয়াকিল আহমেদ, ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মোরশেদুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দ্বায় স্বীকার করে আসামী পৌর সদরের বকশীপাড়া গ্রামের মোরশেদুল। অতঃপর জেল হাজতে প্রেরণ করে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ( ২৬ আগস্ট) ভোর রাতে ক্ষেতলাল উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউপির মরাগাড়ি পুকুরের পূর্ব পার্শ্বে বালকা পাথার এর একটি ধানক্ষেত থেকে বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী ৩২ বছর বয়সী গোলাম মওলার লাশ উদ্ধার করে। সে উপজেলার মসন্দাইল গ্রামের মুনছুর রহমানের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ( ২৮ আগস্ট ) হত্যাকান্ডের শিকার গোলাম মওলার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকান্ডের অভিযোগে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২৭
হত্যাকান্ডের পরদিন (২৭ আগস্ট ) শুক্রবার দিবাগত রাতে হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত খোঁজে বের করতে যৌথভাবে অভিযান চালায় ক্ষেতলাল থানা ও জয়পুরহাট ডিবি পুলিশ। এতে অতি স্বল্প সময়ের মধ্যেই হত্যাকান্ডের জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করতে সক্ষম হন পুলিশ।
ওই ঘটনার দিবাগত রাতেই তদন্ত চালিয়ে বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার বকসিপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সন্দেহমূলকভাবে মোরশেদুল ইসলাম ( ২০ ) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। সে বকশিপাড়া গ্রামের জফের মন্ডলের ছেলে।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত ) ও হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, আমরা হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে গোলাম মওলার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে আরোও জানায় হত্যাকান্ডের শিকার গোলাম মওলার কাছে অনেক টাকা আছে সেই হিসেবে তার পিছু নিয়েছিল গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোরশেদুল। পরে তার কাছে টাকা না পেয়ে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা নিজ মুখে স্বীকার করায় আসামীকে গত শনিবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।