মাসুদ রানা জয়,পার্বত্যচট্টগ্রাম ব্যুরো:
একজন দু’জন করে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাতে। বাড়ছে আতংক। বাড়ছে জীবনের মায়া। সাধারণ মানুষও তাই ছুটছেন টিকা নিতে। যদি একটু রেহাই পাওয়া যায়!
এই চিত্র পাহাড়বেষ্টিত খাগড়াছড়ি জেলাতে। এখানে টিকা নিতে মানুষের ভেতর রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখতে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়।
খাগড়াছড়িতে এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া কর্মসূচী চলছে। খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালসহ জেলার সকল উপজেলায় এই কর্মসূচী চলছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ বেড়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, খাগড়াছড়িতে টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩৫ হাজার তিনশ ৫৫ জন। গত ৮ এপ্রিল থেকে ১০ দিনে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা টিকা নিয়েছেন ছয় হাজার সাতশ ৯২ জন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার তিনশ ৬৫ জন পুরুষ এবং এক হাজার চারশ ৩২ জন মহিলা। এদিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ের টিকা প্রদানও চলছে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে চোখে পড়ে টিকা প্রত্যাশীদের উপস্থিতি। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নিবন্ধন করে সহজেই কোভিড ১৯ টিকা নিতে পারছেন বেশিরভাগ মানুষ।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ বলেন, টিকা নেওয়ার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। ধাপে ধাপে সকলে টিকার আওতায় আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় টিকা গ্রহণের দ্বিতীয় ডোজের তালিকায় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও নার্সসহ সবাই রয়েছেন।
এর আগে এখানে প্রথম টিকা নিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে করোনার টিকা নেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী। তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে নিয়েছেন খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাস।
ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে যে আশ্বাস দিয়েছেন তা পূরণ করেছেন উল্লেখ কওে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ এখনো টিকা পায়নি। দেশের মানুষের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই প্রধানমন্ত্রী টিকা আনতে সফল হয়েছেন। ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে মানুষ করোনা মুক্ত থাকবে।
প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টিকা গ্রহণ শেষে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জেলায় আমি প্রথম টিকা নিয়েছি। এই টিকায় কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই। নিজেদের সুরক্ষার জন্য সবার টিকা গ্রহণ করা উচিত।