রুস্তম আলী, রংপুর জেলা প্রতিনিধি :
রংপুর জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে ভূমিহীন সংগঠন কর্তৃক চিহ্নিত খাস জমি উদ্ধার করে তদস্থলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন, পুলিশ-আর্মির রেটে সকল গরীব মানুষের জন্য রেশন প্রদান এবং চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল বিক্ষোভ-মিছিল, সমাবেশ এবং জেলা প্রশাসক রংপুর, বরাবর স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি পালিত হয়।
গুপ্তপাড়া বুদুবাবুর মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন সংগঠনের প্রধান সংগঠক আনোয়ার হোসেন বাবলু, বাসদ(মার্কসবাদী) রংপুর জেলার সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতু। সভাপতিত্ব করেন ভূমহীন নেতা হাবলু মিয়া। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও আশেপাশের উপজেলার কয়েক সহস্র ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমূল, ঠিকানাবিহীন পরিবার খাস জমিতে তাদের পুনর্বাসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ উল্লেখিত পরিবারগুলো নদীভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে, অভাবের তাড়নায় ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব বা জন্মগতভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন। এসব পরিবারের বিরাট অংশ সড়ক-মহাসড়কের ধারে, রেলসড়কের ধারে, মাটি ভাড়া নিয়ে বাসা ভাড়ায় থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা ন্যুনতম নাগরিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত।
২০২২ সালে মুজিববর্ষে তাদের আকাঙ্খিত স্বপ্নের নীড় বাস্তবায়নের কথা, তাও আশা-নিরাশার দোলাচলে দুলছে। ইতোমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের ভূমিহীন জনগণ জীবন বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছে। তার উপর বাসা ভাড়া বাড়তি গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় অনেকের ২/৩ মাসের ভাড়া বাকী পড়েছে। অনেক বাকীতে সওদাপাতি কিনছে।
এভাবে আর বেশিদিন চলবে না। বাড়িওয়লারা ইতোমধ্যে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে। এরপরে তাদেরকে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে। তবে মাথা গোঁজার মতো ব্যবস্থা হলে শ্রমজীবী জনগণের বিরাট অংশ দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। তালুক ধর্মদাস মৌজার ৫৮০২ দাগে ৯.৫০ একর, হরিরামপুর মৌজার ৫ একর এবং দমদমা ব্রিজ সংলগ্ন বিশাল খাস জমিতে অবিলম্বে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানানো হয়।