খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হত্যা মামলায় ৩১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট
জিয়াউল ইসলাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান খুলনা:
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা আ’লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন মোল্যা হত্যা মামলায় ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত এবং ৫ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। গত ১৭ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোল্যা লুৎফর রহমান আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
২০১৭ সালের ১৪ জুন ইফতারের পর নগরীর রায়েরমহল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেনসহ ৭ থেকে ৮ স্থানীয় হামিদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি করে। ঘাড়ে, হাতে ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই শাহাদাৎ হোসেন নিহত হন। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন লিয়াকত খান ও তার ছেলে মোস্তফা, বুলবুল ও রুবেল। ঘটনার পর ১৭ জুন নিহত শাহাদাৎ হোসেন মোল্যার ছেলে আল মামুন সুমন মোল্যা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নগরীর হরিণটানা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ছয় বার পরিবর্তনের পর মামলার তদন্ত সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৭ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (নিঃ) মোল্যা লুৎফর রহমান ৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। একই সাথে এই মামলার দায় থেকে ৫ জনকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।
চার্জশীটভুক্তরা হলেন, আজম তালুকদার (২৮), সোহাগ হাওলাদার (৩০), মোঃ নাছির (২৮), শেখ তুহিনুল ইসলাম ওরফে তুহিন (৩৭), শেখ শাহিন (৪০), রাজা ওরফে রাজু সেখ (৩৫), জাহিদ মীর (৩৭), মোঃ মেহেদী হাসান (১৭), মোঃ বিলাল হোসেন (২৭), মিলন (২৭), নাজমুল (১৭), মোঃ রাহাত শিকদার ওরফে তানঝিলুর রহমান (২৪), মুরাদ মুন্সী (৪৭), সৈয়দ ফোরকান (৩৫), ফাতেমা (২২), বাবু তালুকদার (২৬), রিপন আহম্মেদ মিরাজ (৩৪), মোঃ রায়হান বাবু (২৫), মোঃ জুয়েল মোল্যা (২৫), সেতু মলিক ওরফে তপু (২৮), মোঃ নুর আলম শেখ (৩২), মোঃ ইজাজুল ইসলাম হাওলাদার (৩৭), রহমত আলী ওরফে ইয়াসিন (২৮), মোঃ সেলিম (৪৭), আলামিন মুন্সী (২৬), আসলাম মোল্যা (৩৯), মোঃ সোহরাব মোল্যা (৪৮), ইয়াছিন আরাফাত ওরফে জ্যামি (৩৫), মোঃ মনিরুল ইসলাম মোল্যা (৪৫), মোয়াজ্জেম মোল্যা (৫২) এবং আজিম (৪২)।
মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে নগরীর রায়েরমহল উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শেখ আরজান আলীর ছেলে শেখ জালাল ওরফে শেখ জামাল উদ্দিন (৬৯)। তিনি ২০১৭ সালের ১৫ জুলাইতে মৃত্যুবরণ করেন। বাকী চার জন হলেন খন্দকার বাহাউদ্দিন (৪৫), মিরাজ শেখ (৪৭), শেখ মোঃ ওমর ফারুক (৪০) এবং শেখ গোলাম মোস্তফা (৫৫)।
চার্জশীটে বলা হয়েছে, তদন্তকালে দেখা গেছে বাদী ঘটনার তিন বছর পর এজাহার বহির্ভূত মোঃ সোহরাব মোল্যা, মোঃ মনির মোল্যা, খন্দকার বাহাউদ্দিন, আজিম, শেখ গোলাম মোস্তফা ও মিরাজ শেখদের বিরুদ্ধে একখানা অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের তদন্তকালে কতিপয় সাক্ষী পূর্ববর্তী তদন্ত কর্মকর্তাদের নিকট খন্দকার বাহাউদ্দিনের নাম প্রকাশ করেছিল। পুনরায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা আর আদালতে খন্দকার বাহাউদ্দিন, শেখ গোলাম মোস্তফা, ওমর ফারুক ও মিরাজ শেখদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়নি।
Leave a Reply