মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণি পড়ূয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী গ্যাং র্যাপের(দলগত ধর্ষণের) শিকার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্র জানায়, অসচ্ছল, দরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী আবাসন প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে স্বপরিবার বসবাস করেন ফিরোজ মিয়া। পারুল-ফিরোজ মিয়া দম্পতির কন্যা একটি মহিলা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের মসজিদ মহল্লার জহিরুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
গত শনিবার রাতে বিয়ে করার আশ^াস দিয়ে মোবাইল ফোনে আবাসন প্রকল্পের একটি নির্জন স্থানে এমরান ডেকে নেয় ওই ছাত্রীকে। তারা দুজনে কথা বলার সময় একই গ্রামের ইউছুব আলী, রাসেল মিয়া ও জামান মোল্লা মুখে কাপড় গুজে জোর করে মাঠের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় ওই ছাত্রীকে। নির্জন জায়গায় নিয়ে ইউছুবসহ তিনজন তাকে ধর্ষণ করে এবং সাথে থাকা মোবাইল ফোনসহ মেমরো কার্ড ছিনিয়ে নেয়।
বিষয়টি ইমরানের পরিবারকেসহ অন্য তিনজনের পরিবারকে জানানোর পর ইমরানের সাথে তাকে বিয়ের আশ^াস দিযে কালক্ষেপণ করতে থাকে তারা।
কোন সুরাহা না পেয়ে দিশেহারা ভিকিটিম পরিবারটি গত মঙ্গলবার টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় দুইজন মেম্বারকে অবহিত করেন।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বুধবার গজারিয়া থানার পুলিশ সরজমিন তদন্তের পর ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছেন।
গজারিয়া থানার ডিউটি কর্মকর্তা এএসআই মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান।মামলার প্রক্রিয়া চলছে।