তফসিল বয়কট করে গণঅধিকার পরিষদের পল্টন মোড় অবরোধ
সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তফসিল বয়কট করে গণঅধিকার পরিষদ নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে পল্টন মোড় অবরোধ করে রেখেছে। গণঅধিকার পরিষদের আজকের বিক্ষোভ মিছিলে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী পল্টন মোড় অবরোধ করে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেন, আমরা এই ভোটারবিহীন আওয়ামী সরকারের মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের দেওয়া অবৈধ তফসিল বয়কট করলাম। দেশের মানুষ এই তফসিল মানেনা মানবেনা। এই আওয়ামী সরকার আজকে এতোটাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে যে তারা এখন লাগাম ছাড়া পাগলা ঘোড়ার মতন আচরণ শুরু করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ কৃষক শ্রমিক কেউই রেহাই পাচ্ছেনা। আমার শ্রমিক ভাইদের রক্ত এবং ঘামে শেখ হাসিনা আজ গণভবনে বিলাসী জীবন উৎযাপন করছেন। শ্রমিকদের টাকায় অবৈধ সরকারের এমপি মন্ত্রীগণ আজ দেশে বিদেশে আমোদ ফুর্তি করছেন।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কর্ণেল অবঃ মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, আমরা এদেশের গর্বিত সন্তান, দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছি; কিন্তু আমার জীবন এমন নির্লজ্জ সরকার কখনোই দিখিনি। আমরা গণঅধিকার পরিষদ এই অবৈধ সরকারের দেওয়া অবৈধ তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলাম।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, এই সরকার এখন পুলিশ আর র্যাব দিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, সরকারের এই পুলিশ বাহিনীর ভয়ে আমরা আন্দোলন বন্ধ করবোনা। আজকে আওয়ামী সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে শুধু বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মী নয়, শ্রমিকদের বুকে গুলি চালিয়ে ঝাঁজরা করে দিচ্ছে। কোন আন্দোলনই সহ্য করতে পারছেনা ভোটারবিহীন সরকার। আমাদের সংগ্রাম ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে ভয় পায়। মানুষ জীবন সংকায় থাকে। এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা নির্বাচন হতে পারে না। কেবল তত্ত্বাবধায়ক সরকারই পারে একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন আয়োজন করতে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ নেতা মোজাম্মেল মিয়াজির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণনেতা অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, এডভোকেট শিরিন আকতার, আরিফ বিল্লাহ; যুব অধিকার পরিষদের আহবায়ক সাকিব হোসাইন; ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদসহ প্রমূখ।