তৌহিদ আহমেদ রেজা: করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আরটি-পিসিআর ল্যাব ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টারের অনুমোদন নেই জানিয়ে তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সোমবার (৩১ আগস্ট) অধিদফতরের পরিচালক ফোন দিয়ে তা বন্ধের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে পরিচালক (হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদফতর) ফোন করে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পরিচালককে বলেন, আপনাদের অনুমোদন নেই এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষা, ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টার বন্ধ করবেন। কাজ চালু রাখলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং আরপিটিসিআর ফর কোভিড ১৯ এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টারের জন্য আলাদা অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে হবে।
এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৮১ জনে। এছাড়া নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ১৭৪ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলো ৩ লাখ ১২ হাজার ৯৯৬ জন করোনা রোগী।
সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৮০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৮৮৭ জন। এর আগে রোববার (৩০ আগস্ট) দেশে ৪২ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১ হাজার ৮৯৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর এ মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার ৬৩১ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৯ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৭৩১ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট মৃত্যু ১ লাখ ৮৭ হাজার ২২৫ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এ নিয়ে ৬১ লাখ ৭৩ হাজার ৩২৮ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।
আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ লাখ ৮২ হাজার ৩১১ জন। এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৮৯৬ জন।
মৃতের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪ হাজার ১৫৮ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪১ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটিতে করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ৬১৩ জন। মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে দেশটি। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৪ হাজার ৬৪৬ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে আক্রান্ত ৯ লাখ ৯০ হাজার ৩২৬ জন। আর মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৩ জন।
সুস্থতার দিক থেকেও প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৩৪ লাখ ২৫ হাজার ৭২৭ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৫৯ জন), এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত (২৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৯৪ জন)।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।