শাহিন আলম গোমস্তাপুর থেকেঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফসলি জমিতে অবাধে পুকুর খনন চলছে। এক্সক্যাভেটর ও কোদাল দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে জমি কমে যাওয়ায় এ উপজেলায় ফসল উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোমস্তাপুর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়ন রয়েছে। বর্তমানে পৌর এলাকা ও বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা টাকার জন্য তাদের তিন ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি ইটভাটায় বিক্রি করছেন। আবার অনেকে এক্সক্যাভেটর দিয়ে জমি খুঁড়ে পুকুর খনন করছেন। এই মাটিও ইট তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে একদিকে জমির উর্বরা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে ফসলি জমির পরিমাণ কমছে। এছাড়া উঁচু জমি গর্তে পরিণত হওয়ায় সেচ কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়নের মরিচাডাঙ্গায় জমি লিজ নিয়ে রহনপুর পৌর এলাকার কলেজমোড় গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা আশরাফুল হক এক্সক্যাভেটর দিয়ে তার বিশাল এলাকার জমিতে পুকুর খনন করছেন। এ প্রসঙ্গে আশরাফুল হক বলেন, ‘আমার জমিটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই জমি খনন করে মাছ চাষের জন্য পুকুর করছি।’ এছাড়া খননকৃত মাটি গোমস্তাপুর হেলিপেডি দেয়ায় কারনে ইউএনও আমাকে অনুমতি দিয়েছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহম্মদ সরকার বলেন, ‘মাটি উত্তোলনের ফলে এই উপজেলায় দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এছাড়াও মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। ফলে তিন ফসলি জমি দিন দিন এক ফসলিতে পরিণত হচ্ছে। ওপরের মাটি বিক্রি করায় অনেক আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সেচ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমার জানান, ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট তহসিলদ্বারকে বলা হয়েছে।