নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মেয়ের সম্মতি নিয়েই পারিবারিক ভাবে ঠিক করা হয় বিয়ে।সবকিছু ঠিক থাকলে পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সোমবার (২ নভেম্বর) পরিবারের পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সাথীর (১৬)।
বিয়ে ঠিক করার আগে বাবা তাকে জিজ্ঞাসাও করেছিলেন কোনো পছন্দ আছে কিনা। কোনো ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই এমন জবাবে এবং তার সম্মতিতে বাবা বিয়ে ঠিক করেন।
কিন্তু বিয়ের আগের রাতে অন্য এক ছেলের হাত ধরে মেয়ে উধাও। খবরটি জানার পর লজ্জা আর অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাবা।
সোমবার( ২ নভেম্বর)ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের শালিয়াবহ গ্রামে।
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার শালিয়াবহ গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৭) এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। মেয়ের মধ্যে সাথী ছোট। সে মাটিআটা দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার কথা।
তার সঙ্গে একই গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের কলেজ পড়ুয়া ছেলে মাসুদের (১৯) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে জানতে পারেন বাবা। বিষয়টি নিয়ে মেয়ের সঙ্গে কথা বললে সে অস্বীকার করে।
তবে এমন ঘটনা শোনার পর বিয়ের বয়স না হলেও তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে উঠেপরে লাগেন। এসময় কোনো পছন্দ আছে কিনা তা মেয়ের কাছে জানতে চান। পছন্দ নেই এবং পরিবারের মতামতেই বিয়ে করবেন বলে জানান সাথী।
সম্মতি পেয়ে বাবা জাহাঙ্গীর একই উপজেলার কুশারিয়া গ্রামে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয় ২ নভেম্বর সোমবার।
নিহতের বড় মেয়ের শ্বশুর শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্তানদের মধ্যে সাথীকে তার বাবা অনেক বেশি আদর করতেন। বিয়ের আগের রাতে মেয়ে অন্য ছেলের হাত ধরে চলে গেছে এমন সংবাদে তিনি অনেক কষ্ট পান।
কাউকে কোনো কিছু বুঝতে না দিয়ে রাতে সবার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমাতে যান। সকালে বাড়ির পাশে কাঁঠাল গাছের ডালে ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ দেখা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সফর আলী বলেন, মেয়ের এমন ঘটনার কারণেই লজ্জায় ক্ষোভে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি। এদিকে ছেলে এবং মেয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানায় পরিবার।
এ ব্যাপারে ধলাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক মো. আরিফুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় কেউ বাদী হয়ে মামলা করেননি, অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..