চকরিয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ
চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চার সন্তানের জননীকে যৌতুকের জন্য সারা শরীর লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে তেথলে দিয়ে নাক ও ডান চোখ নষ্ট করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে পাষন্ড স্বামী সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ আরফা ছিদ্দিকা বাদী হয়ে পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড পশ্চিম বাটাখালী নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আহমদ কবিরের পূত্র স্বামী সাহাব উদ্দিন ও তার দুই সহোদর রফিক এবং আনোয়ার হোসেনকে আসামী করে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘ ১৩ বছর আগে পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড পশ্চিম বাটাখালী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আহমদ কবিরের পূত্র সাহাব উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয় ফাসিঁয়াখালীর মেয়ে আরফা ছিদ্দিকার।
বিয়ের পর থেকে স্বামী সাহাব উদ্দিন বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে।তার এই অসামাজিক কার্যকলাপে অর্থের যোগান দিতে স্ত্রীর উপর চাপ প্রয়োগ করতো।স্ত্রী আরফা ছিদ্দিকা স্বামী সাহাব উদ্দিনের চাহিদা মেটাতে দফায় দফায় বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিত।
বিয়ের পর থেকে স্ত্রী আরফা স্বামী সাহাব উদ্দিন কে কয়েক লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে বাপের বাড়ি থেকে এনে দিয়েছে।যৌতুকের জন্য বারবার শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না ফেরে সামাজিক বিচার বসিয়ে সামাধানের চেষ্টা করেছে কয়েকবার। বিভিন্ন সময় বিচারকগণ ষ্টাম্প মূলে অঙ্গীকার নামাও নেওয়া হয় স্বামী শাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে। এতে নির্যাতন কয়েক দিন বন্ধ থাকলেও আবারও গত ৩ আগষ্ট রাতে স্বামী সাহাব উদ্দিন তার ভাইদের সাথে নিয়ে স্ত্রী আরফা ছিদ্দিকার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। পাষণ্ড স্বামী স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে উপর্যপুরী আঘাত করে সর্ব শরীর তেথলে দিয়ে নাক ও ডান চোখে মারাত্মক আঘাত করে চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। ঘটনার পরদিন আরফা ছিদ্দিকার ভাই এসে তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে, কতর্ব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এই অবস্থায় আরফা ছিদ্দিকা মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন।
এহেন যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই অসহায় নারী প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ জুয়েল ইসলাম বলেন, স্ত্রী নির্যাতনে একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।