আব্দুল্লাহ্ আল নোমান শুভ,চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে আরও আধুনিক ও পর্যটক বান্ধব করতে ইউরোপ ও আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছে ম্যাকাউ, সিংহ ও ওয়েলবিস্টসহ নানা প্রাণী। পাশাপাশি বাঘের জন্য তৈরি করা হইছে প্রাকৃতিক পরিবেশসম্মত নতুন খাঁচা।
বুধবার (১লা মার্চ) সকালে ৪০ হাজার স্কয়ার ফুটের নতুন খাঁচার উদ্ভেদন করলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
এ চিড়িয়াখানায় আছে রাজ-পরি-পদ্মা-মেঘনাসহ বাহারি নামের ১৬টি বাঘ। আছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এবার বাঘের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিতে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন আরেকটি আধুনিক খাঁচা।
চিড়িয়াখানায় গত ৫ই ডিসেম্বর ২০২২ সালে আনা হয়েছে ক্যাঙ্গারু, লামাসহ অনেক প্রাণী ও এর পরের মাসেই আফ্রিকা ও ইউরোপ থেকে আনা হবে ম্যাকাউ, সিংহ ও ওয়েলবিস্টসহ নানা প্রাণী।
জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন,‘এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর চিড়িয়াখানা। আমরা ঢাকা চিড়িয়াখানার চিঠি প্রধান করেছি যে আমাদেরকে দুটি বাঘের বিনিময়ে জলহস্তি দেওয়ার জন্য। শিগ্রই আপনারা এই চিড়িয়াখানার জলহস্তি দেখতে পাবেন।
আগামী কিছু বছর পর এসে আপনারা দেখবেন এটি একটি বিশ্বমানের চিড়িয়াখানা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, জঙ্গল সলিমপুরে উদ্ধার করা খাসজমিতে এ চিড়িয়াখানার অধীনই স্থাপন করা হবে নাইট সাফারি পার্ক। এখনও চলছে পরিকল্পনার কাজ।