ইমাম হোসেন জীবন চট্টগ্রামঃ
কারাগার থেকে আদালতে আনা আসামিদের মাস্ক পরানোর নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রবিউল আলম। গতকাল সোমবার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আইজি প্রিজন ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারকে আদেশ দেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, নগর ও জেলার ৩২ থানায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি ও মামলায় হাজিরা থাকা বন্দীদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হচ্ছে। তাঁদের প্রথমে আদালত ভবনের নিচতলায় জেলা ও মহানগর হাজতখানায় রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে নির্ধারিত আদালতে তোলা হচ্ছে আসামিদের। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাঁদের আনা–নেওয়া করছেন। কিন্তু আসামি ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যের বেশির ভাগেরই মুখে মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। কিন্তু বাস্তব চিত্র আদালতপাড়ায় দেখা গেছে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের অনেকের ক্ষেত্রেও।
আসামিদের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মহানগর হাজতখানার ইনচার্জ অং আজশুমান দেব তাঁর কার্যালয়ে বলেন, কারও মাস্ক না থাকলে তাঁরা দিয়ে দেন অথবা আসামিকে কিনে দেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র , মাস্ক ছাড়াই আসামিদের হাজতখানা থেকে আদালতে আনা নেওয়া হচ্ছে।
মাদক উদ্ধারের মামলায় আজ দুপুরে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আসামি মমতাজ মিয়াকে আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের আদালতে হাজির করা হয়। তখন তাঁর মুখে মাস্ক ছিল না। বিষয়টি বিচারকের নজরে আসে। পরে লিখিত আদেশ দেন আদালত। আদেশে বলা হয়, ‘আসামি মমতাজের মুখে মাস্ক নেই।
উপস্থিত অন্য আসামিদের মুখেও মাস্ক নেই। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিষয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই অবস্থায় আসামিদের আদালতে প্রেরণে মাস্ক সরবরাহ ও আসামিদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে আইজি প্রিজন ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেওয়া হলো।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দীন বলেন, আদালতে প্রতিদিন প্রচুর লোকের ভিড় হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে আদালতপাড়ায় বিচারপ্রার্থীরা আসা-যাওয়া করেন, সে জন্য সচেতন করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এখন আইনজীবীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁরা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। মক্কেলরা যাতে মাস্ক পরেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সে জন্য সচেতন করতে আইনজীবীদের বলা হচ্ছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, কারাগার থেকে আদালতে পাঠানোর সময় বন্দীদের মাস্ক পরানো হয়। এরপরও কেন আদালতে তাঁরা মাস্ক ছাড়া ছিলেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।