চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানাধীন শাহ আমানত মার্কেটে আগুনে পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি। মার্কেটের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান (চসিক) এর নিরবতা নিষ্ক্রিয়তা অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এ পর্যন্ত নেইনি কোন পদক্ষেপও ঘটনাস্থল পরিদর্শনেরও আসেনি স্থানীয় কাউন্সিলর কর্তৃপক্ষ কেউই।ক্ষতিগ্রস্তরা জীবনের পুঁজি-রুজি-জমা সবকিছু হারিয়ে হয়েছে আর্থিক সর্বহারা।ফায়ার সার্ভিসের যথেষ্ট সহযোগিতা রক্ষা পায় বাকী সব দোকান।
আজ ২২অক্টোব,রবিবার মধ্যরাতের পরে ২টার দিকে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী প্রথম আগুন দেখে রোডে টহলরত পুলিশ গাড়ির কর্তব্যরত’দের জানালে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্তৃক ফায়ার সার্ভিস’কে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
দোকান মালিক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকান মালিকদের প্রায় ৩কোটির মতো আর্থিক ও ব্যবসায়িক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যা অপরোনীয় ক্ষতি। ক্ষতিগ্রস্তরা হয়েছে সর্বহারা। চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানত সিটি করপোরেশন (চসিক) সুপার মার্কেটের ২য় তলায় একটি ইলেকট্রনিক্স দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
৩০০ দোকানের মার্কেট আল্লাহর রহমতে হেফাজত করেছে ফায়ার সার্ভিসের সক্রিয় ভূমিকায় চৌকস প্রচেষ্টায়। রাতের ঘটানায় সরাদিন গত হলেও চসিকের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য খুবই দুঃখজনক অমানবিক অসন্তুষ্ট জনক ও হতাশজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী দোকান মালিকরা জানান,মার্কেটের কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী তৎক্ষণাৎ মার্কেটের সভাপতি’সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানোর সাথে সাথেই আশপাশের থাকা লোকজন’সহ সোশ্যাল মিডিয়া ও দোকান মালিকদের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিষয়টি মূহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে সবদিকে। এ ঘটনায় দ্বিতীয় তালায় ইলেকট্রনিষ্কের ৮টির মতো দোকানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য আড়াই কোটি টাকা। মার্কেটটির অন্যান্য দোকানে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
মার্কেটের ২য় তলায় ১টি ইলেকট্রনিক্স দোকানে থেকে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট গোলযোগ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম ডিভিশন আগ্রাবাদ স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এম.ও) কফিল উদ্দিন জানান,৩৩মিনিটেই আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। আগুন লাগার সাথে সাথে ২টা ৪৭মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে। নন্দনকানন ১টি স্টেশনের ২টি.ইউনিট সক্রিয় চেষ্টায় ৩টা ২০মি.আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং ভোর ৫টা পর্যন্ত পুরাপুরি সক্রিয় ভূমিকা পালনে আগুন নিভানো ও নিরাপত্তায় কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস টিম।
মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন জানান,শর্টসার্কিট থেকে রাতের ২টার পর এ আগুনের সূত্রপাত হয়। দোকানে অপটিক্যাল ফাইবার থাকায় আগুন আরো ভয়াবহ হয়। যে দোকানে আগুন লেগেছিল মালিকের বাসা দূরে থাকাতে এবং তালা ভাঙতে দেরি হওয়ায় প্রায় ৩ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো। ৩০০ দোকানের মার্কেটকে আল্লাহ হেফাজত করেছেন। ফায়ার সার্ভিস যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে এজন্য ফায়ার সার্ভিসকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন,সরকারি দপ্তর চসিকের মালিকানাধীন সম্পদ মার্কেট আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে সাথে সাথেই। কিন্তু কারো পক্ষ থেকেই এ পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতি পূরণ সহযোগিতা বিকল্প কোন প্রতিশ্রুতি সারা পাওয়া যায়নি। রাত গত হয়ে দিন গত হলো পরিদর্শনেও আসেনি স্থানীয় কাউন্সিলর কেউই। সহযোগিতা নিরাপত্তায় কোন প্রকার সান্ত্বনা দেওয়া হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত আহমদ সাফা ইলেকট্রনিকস,রাউজান ইলেকট্রনিকস,বাঁধন ইলেকট্রনিকস’সহ আগুনে প্রায় কোটি টাকার বেশী ক্ষয়ক্ষতি’সহ ৮টির মতো দোকানের ইলেকট্রনিকস সাজ-সরঞ্জাম পুড়ে গেছে।ক্ষতিগ্রস্তরা পুজি-জমা সবকিছু হারিয়ে সর্বহারা। আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে যতোটুকু সম্ভব সহায়তা করে যাচ্ছি। পরিষ্কার থেকে শুরু করে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়নো,সকালে নাস্তা দুপুরে খাবার পরিবেশ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মনবল সাহস শান্তনা দিচ্ছি। আমাদের যতটুকু সাধ্য সামর্থ আছে করে যাচ্ছি করবো।
৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবু জহরলাল হাজারী বলেন,মেয়র মহোদয় এখন আমাকে জানিয়েছেন,তিনি রাত ৮টায় যাবেন। আমি মেয়র মহোদয় কে বলেছি আমরা কিভাবে কি করতে পারি। এ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ ব্যবস্তা নেওয়া হয়নি। আমাদের নীতিমালা অনুযায়ী ক্ষয়-ক্ষতির জন্য জন প্রতি দোকানদার ২০০০ টাকা করে পাবে। আর আমাদের পূজা চলছে,আর অসুবিধা থাকতে পারে না? যাওয়ার সময় হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের যা যা করার দরকার আমরা সবই করবো। ওদের সাথে কথা হয়েছে আজকে রাত্রে ৮টায় সময় যাবো।