কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে শ্রান্তি বিনোদনের টাকা দেওয়ার কথা বলে শিক্ষকের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
আবু ছালেহ সরকার চিলমারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গত ২৯/০৮/২০১৯ ইং তারিখে শিক্ষা অফিসার হিসাবে যোগদান করেন।
ওই অফিসার যোগদান করার পর থেকে সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগসাজস করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি করে চলেছেন। জানাগেছে, সহকারী শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত হোসেন গত ০৭/০৮/২০১৪ ইং তারিখে চিলমারী অফিসে যোগদান করেন। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী এক জন অফিসার একই উপজেলায় ৩ বছর কর্মরত থাকার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে বদলি হচ্ছেন না। একই উপজেলায় দীর্ঘ দিন থাকার ফলে তিনি শিক্ষকদের কে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে চলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জন প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষকদের কে শ্রান্তি বিনোদনের টাকা দেওয়ার কথা বলে গত জুন মাসে ১০৫ জন শিক্ষকের নিকট থেকে জন প্রতি ৩০০ টাকা করে আদায় করেছেন শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসার। অথচ এখন পর্যন্ত শিক্ষকরা শ্রান্তি বিনোদনের টাকা পাননি। অপর এক জন প্রধান শিক্ষক জানান, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট, টাইম স্কেল, বদলী, জিপি ফান্ডের লোন নিতেগেলেও সুপারিশ নিতে উৎকোচ দিতে হয়। ইতো পূর্বে সহকারী শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত হোসেন শিক্ষকদেরকে কারণে অকারণে শোকজ করে হয়রানী করতেন এবং অর্থ আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে শিক্ষা অফিসার আবু ছালেহ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি শ্রান্তি বিনোদনের টাকা দিতে চেয়ে কোন শিক্ষকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করিনি। তবে হিসাব রক্ষণ অফিসে যেকোন বিল পার করতে টাকা লাগে। অফিস সহকারী হয়তো ১০০/২০০ টাকা নিতেও পারে। সহকারী শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত হোসেনের দীর্ঘ দিন এই উপজেলায় থাকার ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার বলেন, একজন অফিসারের বদলীর বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..