1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
চেক প্রতারণা মামলার বিচার হবে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫২ অপরাহ্ন

চেক প্রতারণা মামলার বিচার হবে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০, ৯.৩৮ এএম
  • ২৪৩ বার পঠিত

এখন থেকে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রোমেন্ট (এনআই) অ্যাক্ট-১৮৮১-এর ১৩৮ ধারার অধীনে চেক প্রতারণার মামলার প্রাথমিক শুনানি বা বিচার হবে শুধু যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। আর এই আদালতের রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। একইসঙ্গে যেসব মামলা জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে তা ১৫ দিনের মধ্যে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের এই নির্দেশনা দেশের সকল জেলা ও দায়রা আদালতকে অবহিত করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এক রায়ে এ নির্দেশ দেন। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার এএএম জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যক্তির করা এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ রায় দেন। আদালতে আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মাজেদুল কাদের ও ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক।

এএম জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা করে ইসলামী ব্যাংক। মামলাটি চাপাইনবাবগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। ওই তিন মামলার কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর রিট আবেদন করেন তিনি। এ রিট আবেদনে রুল জারি করা হয়। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।

আদালতের নির্দেশনার পর ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ নম্বর ধারার অধীনে চেক প্রতারণার মামলার শুনানি হয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। কোন আদালতে শুনানি হবে তা নির্ধারণ করে দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। যুগ্ম জেলা জজ আদালতের কোনো আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। আর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত কিংবা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশ ও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হচ্ছে হাইকোর্টে। ফলে বিচারিক বিশৃংখলার সৃস্টি হচ্ছে। এ কারণে একটি নির্দিষ্ট আদালতে মামলার শুনানি এবং একটি নির্দিষ্ট আদালতে আপিল দাখিল হওয়া প্রয়োজন। এ কারণে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, যেসব মামলা জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে তা ১৫ দিনের মধ্যে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগের আদালতে যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থা থেকেই পরবর্তী বিচার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। হাইকোর্ট আজ যে রায় দিয়েছেন তাতে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে। বিচারিক বিশৃংখলা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews